নিজস্ব প্রতিবেদন:  পাওয়ার গ্রিড নিয়ে ফের উত্তপ্ত হল ভাঙড়। এলোপাথাড়ি বোমায় রণক্ষেত্রের রূপ নিল গোটা এলাকা। জ্বালিয়ে দেওয়া হল একের পর এক গাড়ি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহ্স্পতিবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ভাঙড়ের অনন্তপুরে মিছিল করছিলেন জমি আন্দোলনকারীরা। অভিযোগ, মিছিল থেকে আচমকাই তৃণমূলের দুই কর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়। এই খবর চাউর হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। গাছের গুঁড়ি ফেলে, বেঞ্চ দিয়ে পথ আটকে দেয় পাওয়ার গ্রিডের পক্ষে থাকা লোকেদের একাংশ।


আরও পড়ুন: "এই দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করতে চাননি"


বেলা দেড়টার পর থেকে আরও তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। একাধিক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পাওয়ার গ্রিড পন্থীদের বিরুদ্ধে। এরপর চলতে থাকে এলোপাথাড়ি গুলি। গুলিবিদ্ধ হন এক যুবক। রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়, দোকানপাট বন্ধ করে চম্পট দেন স্থানীয়রা।


দুপুর দুটো নাগাদ অনন্তপুরে যান স্থানীয় তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। তাঁর দাবি,‘বোমা ও অস্ত্র নিয়ে মিছিল করছিলেন জমি আন্দোলনকারীরা। চারটি গাড়িতে বোমা মজুত ছিল। সাধারণ মানুষের কাছে তাঁরা ধরে পড়ে যায়। গ্রামবাসীরাই তাঁদের বাধা দেন। পালিয়ে যাওয়ার সময়ে গাড়িতে রাখা বোমা ফেটেই আগুন ধরে যায়। যা ঘটেছে, তা সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, বলে তাঁর ব্যাখ্যা। ঘটনার প্রায় ঘণ্টা তিনেক পর বেলা তিনটে নাগাদ এলাকায় পৌঁছয় পুলিস। জ্বালিয়ে দেওয়া গাড়িগুলিকে আস্তে আস্তে রাস্তা থেকে সরানো হয়।


  ভাঙড়ের বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লার প্রশ্ন, ''পুলিসের অনুমতি ছাড়াই কেন মিছিল করা হচ্ছিল? যদি এটি শান্তিপূর্ণ মিছিলই হয়ে থাকে তবে এত আগ্নেয়াস্ত্র কেন রাখা হয়েছিল? এত বাইক বা এত গাড়িও বা কেন ছিল মিছিলে?’ তাঁর দাবি, এটা কোনও শান্তিপূর্ণ মিছিল ছিল না।


আরও পড়ুন: বাম্পারে ধাক্কা মেরে উল্টে গেল মন্ত্রীর গাড়ি


সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘পুলিস এখন অনেক ক্ষেত্রেই এফআইআর, অভিযোগ নিতে চায় না। অনেকক্ষেত্রে অফিসিয়াল কাগজ নিতে চায় না পুলিস। পুলিসের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ রাজ্যের সর্বত্রই রয়েছে। তৃণমূল আগে থেকেই এই মিছিলের কথা জানত। যদি না জানা থাকত, তবে ওরা কেন আগে থেকে সেখানে জড়ো ছিল? মাওবাদীরা এই মিছিল করেনি।’


বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘কংগ্রেস, সিপিএম, মাওবাদীরা নিজেদের অস্বিত্ব রক্ষার জন্য জমি হিসাবে ভাঙড়কে বেছে নিয়েছে। সরকার অসন্তুষ্ট গ্রামবাসীদের সঙ্গে বসে বিষয়টি আলোচনার মধ্যে মিটিয়ে ফেলতে পারত। কিন্তু সরকারও গায়ের জোর দেখিয়েছে, তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। যা ঘটছে তা মোটেও কাম্য নয়। কংগ্রেস ও সিপিএম নোংরা রাজনীতির খেলা খেলছে। তবে সরকারের কাছে এখনও সমাধানের রাস্তা খোলা রয়েছে।’