নিজস্ব প্রতিবেদন:  দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের কাঠালিয়া গ্রামে এক নাবালিকা প্রেমিকাকে ধারালো ছুরি দিয়ে খুনের চেষ্টা প্রেমিক আশফাফ মোল্লার। এরপর পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সে । তাকে ধরে ফেলে এলাকার মানুষ। এরপর কাশীপুর থানার পুলিস তাকে গ্রেফতার করে। এদিকে আহত নাবালিকাকে এলাকার নলমুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থা আশাঙ্কাজনক থাকায় নাবালিকাকে রাতেই  কলকাতা পিজিতে  স্থানান্তরিত করা হয়। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর নাবালিকার অবস্থা এখনও সংকটজনক।

COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এলাকাবাসীরা জানান, " ঘটনার দিন নাবালিকার বাবা মা বাড়ি ছিলেন না । তাঁরা গিয়েছিলেন বড় মেয়ের বাড়িতে । বাড়িতে একাই ছিল দুই মেয়ে। হঠাত্ করে আশফাফ মোল্লা এদের  বাড়ি চড়াও হয় । মেজো মেয়ে বাঁধা দিতে গেলে তাঁকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয় অভিযুক্ত। এরপর কোন কথা বলে সোজা সেজো মেয়ের গলায় ছুরি চালিয়ে দেয়।"  আচমকা এই ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যায় তাঁরা। এরপর নাবালিকা এবং তাঁর বোনের চিত্কারে ছুটে আসে এলাকার লোকজন। বেগতিক দেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।

আশফাফ মোল্লা মদপ্য অবস্থায় এসেছিল। তাই ঘটনার পর সে বেশিদূর পালাতে পারেনি। কিছুদূর যাওয়ার পর ধরা পড়ে যায়। মদপ্য আশাফাফ স্বীকার করেছে সে তাঁর প্রেমিকাকে খুন করতে চেয়েছিল।


নাবালিকাকে 'শ্লীলতাহানি' গৃহশিক্ষিকার স্বামীর, গণধোলাইয়ের পর তুলে দেওয়া পুলিসের হাতে



পুলিস তাকে কাশীপুর থানায় নিয়ে আসার পর অভিযুক্ত  জানায়," আমাকে ধোকা দিয়েছে। দু বছর আমাদের সঙ্গে প্রেম করার পর গত ৬ মাাস ধরে কোন সম্পর্ক রাখেনি। তাই ৩ মাস আগে আমি ঠিক করে ফেলি ওকে খুন করব। আমি যখন ওকে পাই নি, তখন কেউ ওকে পাবে না। সেদিন ১৫০ টাকা রোজগার করি। সেই টাকা থেকে  ১১০ টাকা দিয়ে একটা বাংলা মদের বোতল কিনি। আর ১০ টাকা দিয়ে একটা ছুরিও কিনি। তারপর ভাঙরের মাঠে বসে বাংলা মদ খাই।  এরপর ওদের বাড়ি গিয়ে সেটা দিয়েই গলা কেটে দিলাম। মরে গেছে কিনা জানিনা। তবে মরে গেলেই ভালো হয়।" পুলিস অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে।