নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার গভীর রাত থেকেই কলকাতার অলিগলি জমজমাট। উচ্চগ্রামে গান,  জোরালো শব্দবাজির আবহে গঙ্গা অভিমুখে রওনা দিচ্ছেন পুণ্যার্থীরা। কেউ পায়ে হেঁটে তো কেউ ছোটো ম্যাটোরয়। ভোরের আলো ফোটার আগে ভক্তরা ভিড় জমিয়েছেন বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটে, সরোবর, পুষ্করীনিতে। সূর্যের আরাধনায় মেতেছেন তাঁরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার সকাল থেকেই ছট পুজোর উন্মাদনা দেখা গিয়েছে কলকাতা ও শহরতলীতে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় একই ছবি ফুটে উঠেছে। তবে, শুধুই যে সূর্য আরাধনায় ছট পুজো পালিত হচ্ছে এমনটা নয়, এই পুজোকে কেন্দ্র করে জনসংযোগের কাজ সেরে ফেলছেন রাজনীতিক কারবারিরাও। যেমন, খড়গপুর উপনির্বাচনে প্রচার শুরু করে দেন তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার। গলায় গেরুয়া উত্তরীয় পড়ে পুণ্যার্থীদের সঙ্গে দেদার নিজস্বী তোলাতে ব্যস্ত থাকেন তিনি।


তবে, ছটপুজোয় ফের রবীন্দ্র সরবোর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়াল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশনামায় কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রবীন্দ্র সরোবরে মহাসমোরহে উদযাপন হতে দেখা গেল ছটপুজো। পুণ্যার্থীরা সেখানে ভিড় জমিয়ে আচার-অনুষ্ঠান সারেন। উল্লেখ্য, সকাল ৭টা নাগাদ সরোবরের ৩ নম্বর গেটের তালা ভেঙে পুণ্যার্থীরা প্রবেশ করেন বলে অভিযোগ। ছটপুজো উপলক্ষে কেএমডিএ-র নোটিস ছিঁড়ে ফেলা হয়।



আরও পড়ুন- কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীরের মানচিত্র প্রকাশ করল কেন্দ্র


উল্লেখ্য, পরিবেশ দূষণ রোধের উদ্দেশ্যে কোনও মতেই রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। পরিবেশ আদালত নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি আগেই রবীন্দ্র সরোবরে ছট বন্ধের সুপারিশ করে। তা সত্ত্বেও গত দুই বছর অবাধে ছট পুজো হয়েছিল রবীন্দ্র সরোবর। আর তার ফলে হয়েছে দূষণও। এবছর আদালতের নির্দেশ মেনে রবীন্দ্র সরোবরে সম্পূর্ণরূপে ছট পুজো বন্ধের পথে হেঁটেছে কেএমডিএ। তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় সরোবরের গেটে। বিকল্প হিসাবে শহরের ১০টি পুকুরে ছট পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়।