Lakshmi Puja: লক্ষ্মীলাভের আশায় জল ঢালল স্বয়ং লক্ষ্মীমূর্তিই! মাথায় হাত মৃৎশিল্পীদের...
Lakshmi Puja: মাথায় হাত পুরুলিয়ার চড়িদা গ্রামের মৃৎশিল্পীদের। গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে মূর্তি তৈরি করার পরে, সেই খরচ না-ওঠায় রীতিমতো হতাশ মৃৎশিল্পীরা।
মনোরঞ্জন মিশ্র: লক্ষ্মীলাভের আশায় জল ঢেলে দিল খোদ লক্ষ্মীমূর্তিই। লক্ষ্মীলাভের আশায় লক্ষ্মীর মূর্তি তৈরি করলেও বিক্রি নেই। মাথায় হাত পুরুলিয়ার চড়িদা গ্রামের মৃৎশিল্পীদের। গ্যাঁটের কড়ি খরচ করেও, সেই খরচ না ওঠায় রীতিমতো হতাশ মৃৎশিল্পীরা।
আরও পড়ুন: Kojagori Lakshmi Puja: দুর্গাপুজো শেষ! শুরু কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর তোড়জোড়...
দুর্গাপুজো মিটতেই রাতদিন এক করে লক্ষ্মীপ্রতিমা তৈরি করেছিলেন চড়িদা গ্রামের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন মৃৎশিল্পী। এক একজনে কেউ ১০টি, কেউ ১২টি করে ৩-৫ ফুটের লক্ষ্মীমূর্তি তৈরি করেছেন। পাশাপাশি রয়েছে ছোট মূর্তিও। কিন্তু আজ, শনিবার সকাল থেকে ক্রেতার সেরকম দেখা নেই চড়িদায়। এবছর কোনও ধরনের মূর্তিরই আশানুরূপ বিক্রি নেই। আর মূর্তি বিক্রি না হওয়ায় মাথায় হাত মৃৎশিল্পীদের।
চড়িদা খুবই বিখ্যাত গ্রাম। ছৌ-নাচের মুখোশ তৈরির জন্য ভুবনজোড়া খ্যাতি এ গ্রামের। পাশাপাশি চড়িদা গ্রামের প্রায় ৮০ টির বেশি পরিবার মৃৎশিল্পের সঙ্গেও জড়িত। এঁদের প্রায় সকলেই শিল্পীভাতাও পেয়ে থাকেন। এঁরাও বছরের বেশিরভাগ সময় ছৌ মুখোশ শিল্পের সঙ্গেই জড়িত থাকেন। তবে এরই মধ্যে বছর জুড়ে বিভিন্ন পুজোর জন্য যেমন দুর্গা, লক্ষ্মী, কালী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, কৃষ্ণ, ভাদুর মূর্তি গড়েন শিল্পীরা। ছৌ নাচের শিল্পীদের প্রধান উপকরণও তৈরি করে থাকেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: Lakshmi Puja: আজ, লক্ষ্মীপুজোর দিনেই চন্দ্রগ্রহণ! গ্রহণ এড়িয়ে ঠিক কখন করতে পারবেন মায়ের পুজো?
সব মিলিয়ে খুবই কর্মমুখর একটি গ্রাম এই চড়িদা। পুরুলিয়ায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে চড়িদার ছৌ মুখোশের বিপুল চাহিদা থাকে। কিন্তু দুর্গাপুজো শেষে লক্ষীমূর্তি গড়ে এহেন শিল্পীরা ক্ষতির মুখেই পড়তে চলেছেন বলে মত শিল্পীদের একাংশের। তবে আশাও দেখছেন তাঁরা। সামনেই কালী পুজো। তাঁদের আশা কালীপুজোয় মূর্তি তৈরির ভালো বরাত পাবেন তাঁরা!