নিজস্ব প্রতিবেদন:   ৩৪ বছরের কমিউনিস্ট শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১১ ক্ষমতায় এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার পৃথিবীর অন্যতম কমিউনিস্ট শাসিত দেশে চিনে পাড়ি দিচ্ছেন তিনি। এই সফরকে কেমনভাবে দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? জি ২৪ ঘণ্টার সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরী প্রশ্ন করাতেই অকপট জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মাত্র ৭টা বছর আগের কথা। ৩৪ বছরের বাম আমলের অবসান ঘটিয়ে এক নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধান বিরোধী নেত্রী তাঁর উত্তরণ হয়েছিল রাজ্যের কাণ্ডারি হিসাবে। একটা সময়ে যে বাম আমলের অবসান ঘটানোই ছিল তার কাছে মস্ত চ্যালেঞ্জ, আজ তাদেরই পীঠস্থান চিন সফরে পাড়ি দিচ্ছেন তিনি। আর সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই প্রকৃত মার্ক্সীয় মতাদর্শে যে তিনি শ্রদ্ধাশীল, তাও আরও একবার স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী।


আরও পড়ুন: বামপন্থী বুদ্ধদেবকে সম্মান করেন মমতা


 চিনের কমিউনিস্টদের আদর্শকেও শ্রদ্ধা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের আমলে যে চিনে উন্নতি হয়েছে, তাও দ্ব্যর্থহীনভাবে স্বীকার করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সকল বামপন্থী খারাপ নন। চিন একেবারেই প্রকৃত বামপন্থায় বিশ্বাসী। এই আমলে চিনে অনেক উন্নতি হয়েছে। ‘’  তবে এখানে আরও একটি বিষয় স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী, ‘‘ চিন সফরের ব্যাপারে আমি বেশি কিছু বলব না। কারণ এটা আমার রাজনৈতিক আদর্শ ও দেশের কূটনীতি বিরোধী হতে পারে।’’


মুখ্যমন্ত্রী এটাও জানান, চিন সফরের জন্য ভারত সরকার বাংলা থেকে তাঁকে একজন প্রতিনিধি হিসাবে মনোনীত করেছেন। দেশে প্রতিবছরই চিনে প্রতিনিধি দল পাঠায়। এবার বাংলা থেকে একজন প্রতিনিধি হিসাবে দেশ তাঁকেই চিনে পাঠাচ্ছে।


সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নিজেদের পায়ের তলার মাটি প্রায় হারিয়ে ফেলেছে সিপিএম। অন্তত এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। কিন্তু যাঁরা এতদিন তাকিয়ে থাকতেন চিনের দিকে, ৩৪ বছরের বাম রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে ফের তাঁদের  পীঠস্থানে পাড়ি দিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বোপরি এই সফরের জন্য ভারত সরকারই তাঁকে মনোনীত করেছেন। প্রকৃত মার্ক্সীয় আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মমতার কাছে এটা যে অনেক বড় পাওনা, তা এদিন তাঁর কথাতেই প্রমাণীত।