নিজস্ব প্রতিবেদন: বাজেট পেশের আগে বরফ গলানোর চেষ্টা! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অমিত মিত্রের পর এবার রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার রাজ্যপালের সঙ্গে টানা দু’ঘণ্টা বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। বৈঠকে ছিলেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব ও রাজ্যপালের সচিব। সূত্রের খবর, বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালেন ভাষণ নিয়ে বৈঠকে কথা হয়েছে।


আরও পড়ুন-শহিনবাগে হামলাকারী কপিল আসলে আপ সদস্য, ফাঁস করল দিল্লি পুলিস


উল্লেখ্য, রাজ্যে একাধিক ইস্যুতে রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের সংঘাত তুঙ্গে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে বারবারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ ও সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ঢুকতে না দেওয়া নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে রাজ্যপালের।  তাঁর ক্ষোভ, অরাজক এই অবস্থায় কাটাতে কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না সরকার। এরকম এক অবস্থায় এসে পড়েছে রাজ্য বাজেট।


নিয়মমাফিক বাজেট অধিবেশনের আগে বিধানসভায় ভাষণ দিয়ে থাকেন রাজ্যপাল। সেই ভাষণ লিখে দেয় রাজ্য সরকার। সম্প্রতি ওই ভাষণ নিয়ে তোলপাড় হয়েছে কেরল বিধানসভা।  সেখানে রাজ্য সরকারের লেখা ভাষণ পাঠ করলেও রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান জানিয়ে দেন তিনি ওই ভাষণের সঙ্গে একমত নন। এতেই তুলকালাম হয় কেরলে।


ধনখড় রাজ্য সরকারের ওপরে যেভাবে বারেবারে অসন্তোষ করেছেন তাতে আশঙ্কার মেঘ দেখছে রাজ্য সরকার। সেকথা মাথায় রেখে কখনও পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কখনও অমিত মিত্র  রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে ক্ষোভ দূর করার চেষ্টা করছেন। এমনটাই মনে করছে রাজ্যনৈতিক মহল।


আরও পড়ুন-বাড়ি থেকে কিছুটা যেতেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি, কাটোয়ায় খুন তৃণমূল কর্মী


প্রসঙ্গত, সংঘাতের মধ্যেই রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সাক্ষাত হয় ২৬ জানুয়ারির অনুষ্ঠানে। সেখান থেকে রাজভবনেও যান মুখ্যমন্ত্রী।  তার পর রাজভবনে গিয়ে ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই সাক্ষাতকারকে সৌজন্যমূলক বলা হলেও অন্য কথা বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তার পরে অমিত মিত্রকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যপালের কাছে যান পার্থ। এবার গেলেন মুখ্যসচিব। ফলে ঘনঘন এই সাক্ষাতের পেছনে রাজ্যপালের বাজেট ভাষণই কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।