নিজস্ব প্রতিবেদন : শিশু চুরির অভিযোগে বর্ধমান শহরের এক নার্সিংহোমের কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিস। চুরিতে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই নার্সিংহোমেরই এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, ১১ বছর বিয়ের পর হঠাৎ বিশ্বাস পরিবারের ঘরে শিশু দেখে পাড়ার প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। দম্পতিকে জিজ্ঞাসা করে কোনও সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়া সন্দেহ আরও গাঢ় হয়। যদিও মাস ছয়েক আগে ঘটনাটি ঘটে, সম্প্রতি তাদের সন্দেহের কথা পাড়া-প্রতিবেশীরা কাটোয়া থানার পুলিসকে জানায়। পুলিস তার ভিত্তিতে বিশ্বাস পরিবারের সন্তান পালনের তদন্ত শুরু করে। পুলিসি তদন্তেই শিশু চুরির চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।


পুলিস জানতে পারে, মাস ছয়েক আগে কাটোয়ার পানুহাটের দিঘির পাড়ের নিঃসন্তান দম্পতি প্রদীপ বিশ্বাস ও অনুশ্রী বিশ্বাস বর্ধমানের একটি নার্সিংহোম থেকে এক শিশুকন্যাকে কিনেছে। ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে সদ্যোজাত ওই শিশুকন্যাকে দম্পতি কেনে বলে পুলিস জানতে পারে। তদন্তে শিশু চুরি চক্রে নাম উঠে আসে নার্সিংহোমের টেকনিশিয়ান শৈবাল রায় ও চিকিৎসক আবু কাসেম আলির।


আরও পড়ুন, মিলেছে রাজ্যের সবুজ সিগন্যাল, বাংলাদেশ সীমান্তের অরক্ষিত এলাকাকে বেড়ায় ঘিরবে কেন্দ্র


কাটোয়া থানার পুলিস এরপর শিশুটিকে উদ্ধার করে। ওই শিশুকে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আজ অভিযুক্ত শৈবাল রায়কে গ্রেফতার করে পুলিস। কাটোয়ার অ্যাডিশনাল এসপি ধ্রুবজ্যোতি দাস জানিয়েছেন, "এই ঘটনার সঙ্গে যারা যারা যুক্ত রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নার্সিংহোম যদি এই শিশু চুরিতে যুক্ত থাকে, তবে নার্সিংহোমের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" এখন পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে কাটোয়া থানার পুলিস।