নিজস্ব প্রতিবেদন: চুঁচুড়া মোগলটুলির বাসিন্দা রুনু কুমার৷ প্রবল শ্বাসকষ্ট হলেও, মিলছিল না অক্সিজেন৷ বিভিন্ন হাসপাতাল, নার্সিংহোমে ফোন করেও পরিজনরা কোনও সাহায্য পাননি৷ অবশেষে পাশে দাঁড়ায় ‘চুঁচুড়া আরোগ্য’৷ বিনামূল্যে ওই মুমূর্ষু রোগীর বাড়িতে অক্সিজেন পৌঁছে দেয় স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা৷ কেবল একজন রুনু কুমার নন, দিনের পর দিন এমনই একাধিক রোগীর প্রাণ বাঁচিয়ে চলেছে এই স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা৷ কারও কাছে বিনামূল্যে পৌঁছে দিচ্ছে অক্সিজেন, তো কোথাও পৌঁছে দিচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স৷ 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: উলটপুরাণ! বর্ধমানে ঘরছাড়া BJP কর্মীদের বাড়ি ফেরালেন তৃণমূল নেতা


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে লন্ডভন্ড দেশ৷ ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ গ্রাফ৷ হাসপাতাল থেকে নার্সিংহোম, সর্বত্র অক্সিজেনের জন্য হাহাকার৷ এই অবস্থায় মানুষের পাশে ত্রাতার ভূমিকায় ‘চুঁচুড়া আরোগ্য’৷ কারও অক্সিজেন লেভেল নেমে যাচ্ছে, দ্রুত অক্সিজেন  প্রয়োজন, এই পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবি সংস্থার সদস্যরা৷ বিনামূল্যে রোগীর কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন অক্সিজেন। কোনও রোগীকে এখনই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, প্রয়োজন অ্যাম্বুলেন্স, ব্যবস্থা করছে ‘চুঁচুড়া আরোগ্য’৷ 


আরও পড়ুন: সংসদীয় কমিটির বৈঠক হোক ভার্চুয়ালি, লোকসভার অধ্যক্ষ ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি Derek-এর


জানা গিয়েছে, করোনা অতিমারির প্রথম পর্যায়েও, একই ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল ‘চুঁচুড়া আরোগ্য’৷  আমফানের সময়ে সুন্দরবন এলাকাতেও কাজ করেছে এই সংস্থা৷ ‘চুঁচুড়া আরোগ্য’-র অন্যতম  সদস্য ইন্দ্রজিৎ দত্ত বলেন, ‘‘অনেক বয়স্ক মানুষ করোনা আক্রান্ত হলেই, তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হচ্ছে। তাঁদের কাছে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। করোনা নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা ভয় ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, সেটা দূর করতে হবে।’’ তাঁর আরজি, ‘‘যাঁদের অক্সিজেন প্রয়োজন, কেবল তাঁরাই অক্সিজেন নিন৷ আশঙ্কা থেকে কেউ বাড়িতে অক্সিজেন মজুত করে রাখবেন না।’’