নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার চোপড়ায় কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর সোমবারও সারাদিন এলাকা উত্তপ্ত ছিল। ছিল রাজনৈতিক চাপানউতোর। তার মধ্যেই এ দিন সকালেই ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৫০ মিটারের মধ্যেই  একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় কিশোরীর মৃত্যুকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ফিরোজ আলির মৃতদেহ। যা ঘটনার নয়া মোড় নেয়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার ফিরোজের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয় পুলিস। ওইদিন পর্যন্ত বাড়ির ছেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন অভিযুক্ত ফিরোজ আলির পরিবার। মৃত কিশোরীর পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা । মৃত ফিরোজের পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে চোপড়া থানার পুলিস । সোমবার রাতেই মৃত কিশোরীর বাবা ও দুই দাদা সহ ৪ জন কে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিস। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর মৃত কিশোরীর বাবা  ও দুই দাদাকে গ্রেফতার করে চোপড়া থানার পুলিস । 


পুলিস সূত্রের খবর, মৃত কিশোরীর পরিবার শুধুমাত্র ফিরোজ আলির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ফিরোজ মারা যাওয়ায় দ্বিতীয় কোন ব্যক্তিকে এই মামলায় গ্রেফতারের কোনও প্রশ্ন ছিল না। জেলার পুলিস সুপার সচিন মক্কর জানিয়েছেন, সোমবার মৃত কিশোরের পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কিশোরীর বাবা ও দুই দাদাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা শুরু করা হয়েছে।" মঙ্গলবার তাদের ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় । 


চোপড়ার ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল জানান, “মৃত কিশোর-কিশোরী দুজনেই পূর্বপরিচিত। তাঁদের মধ্যে বেশ ঘনিষ্ঠতাও ছিল। ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক। আর প্রকৃত সত্য প্রকাশ্যে আসুক ।" কিন্তু বিজেপির জেলার নেতৃত্বের দাবি, সত্য ঘটনা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিস ।  
 
রবিবারই ইসলামপুরের পুলিস সুপার সচিন মক্কর জানিয়েছিলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে বিষক্রিয়াতেই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। কিশোরীকে ধর্ষণের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এবার অভিযুক্ত কিশোরের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কী আসে তাঁর দিকে তাকিয়ে সবাই ।
আরও পড়ুন : ব্যাকফুটে অভিভাবকরা, বেসরকারি স্কুলের বেতন মামলায় ১৫ অগস্টের মধ্যে বকেয়া মেটানোর নির্দেশ আদালতের