নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব আইন রাজ্যে লাগু করতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। সংসদে পাস হওয়া ওই আইন বলবত করার ক্ষমতা একমাত্র কেন্দ্রের। রাজ্য সরকার তা কার্যকর না করলে রাষ্ট্রপতি শাসনও জারি হতে পারে রাজ্যে। এমনটাই মনে করছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও অষ্টম লোকসভার সেক্রেটারি সুভাষ কাশ্যপ। পাশাপাশি একই অভিমত  লোকসভা- দিল্লি বিধানসভার প্রাক্তন সচিব এস কে শর্মার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ধর্মতলায় উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীদের ভিড়, লাফিয়ে বেড়েছে অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি বাসের ভাড়া


এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করছেন তিনি রাজ্যে নাগরিকপঞ্জী অথবা নাগরিকত্ব আইন লাগু হতে দেবেন  না। সরকার পড়ে গেলেও না। এখন রাজ্য সরকার যদি কেন্দ্রের কথা না শোনে তাহলে কী হবে ?  সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও লোকসভার সেক্রেটারি প্রাক্তন সুভাষ কাশ্যপ বলেন, সংবিধানের ১১ ধায়ায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে নাগরিকত্ব ও এই সম্পর্কিত সব বিষয় সংসদের এক্তিয়ারে পড়ে। আইন তৈরি করতে পারে একমাত্র সংসদ। এক্ষেত্রে রাজ্যে কোনও কোনও ক্ষমতা নেই।


উল্লেখ্য, প্রথম এনডিএ সরকারের আমলে নাগরিকত্ব বিল পাস করানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যসভায় সেটি আটকে যায়। পর তা যায় যুগ্ম সংসদীয় কমিটিতে। কমিটি বিলটির ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়ার জন্যে ডেকে পাঠায় সুভাষ কাশ্যপকে। সেখানে তিনি বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে এই আইন পাস করানো যায় না।


আরও পড়ুন-   ভুল বোঝানো হচ্ছে সংখ্যালঘু সমাজের একাংশকে, বুধবার মেটিয়াবুরুজে সভা করবেন অভিষেক


নাগরিকত্ব আইন বলবত করা নিয়ে কাশ্যপ বলেন, সংসদ আইন পাস করলেও তা কার্যকর করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। এখন রাজ্য যদি তা না করে তা হলে তা সংবিধান ভঙ্গ করার সামিল। সেক্ষেত্রে  রাজ্যপালের মাধ্যমে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে পারে কেন্দ্র। এখন রাজ্যের যদি আইন বলবত করতে আপত্তি থাকে তাহলে ২টি পথ খোলা রয়েছে। একটি হল সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া এবং সেখানে নিজেদের সমর্থনে প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা দেওয়া। অথবা সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখিয়ে আইনটিকে থামানো।



অন্যদিকে, সংবিধান  বিশেষজ্ঞ এস কে শর্মা জি ২৪ ঘণ্টাকে জানান, রাজ্য সরকার যদি ওই আইন মানতে অস্বীকার করে তাহলে কেন্দ্র রাজ্যকে তা লাগু করার ব্যাপারে নির্দেশ দিতে পারে।  এব্যাপারে কেন্দ্রে রিপোর্ট তলব করতে পারে রাজ্যে জিডি ও মুখ্যসচিবের কাছে।  এখন রাজ্য সরকার যদি তাতেও আইন লাগু করতে না চায়  তাহলে তা সংবিধান কার্যকর করার ব্যর্থতা বলে ধরে নেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে রাজ্যে ৩৫৬ ধারার জারির ব্যাপারেও কথা উঠতে পারে।