নিজস্ব প্রতিবেদন : কয়েকবছর ধরে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠছে আরামবাগের হরিণখোলার ঘোল তাজপুর। বৃহস্পতিবার সেই সংঘর্ষ অগ্নিগর্ভ করে তোলে এলাকাকে। বেলা এগারোটার নাগাদ এলাকা দখলে নিয়ে লাল্টু খান এবং পারভেজ রহমানের অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ব্যাপক বোমাবাজি , গুলিতে এলাকা ধোঁয়াতে ভরে যায়। আর সেই সংঘর্ষে চন্দন খান নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত যুবক লাল্টু খানের অনুগামী। চন্দন খান খুনে তাঁর পরিবার সরাসরি অভিযোগ করেছে তাইবুল হোসেনের নামে। এলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত যুবক আরামবাগে থাকে না। রাজস্থানে জরির কাজ করে। লকডাউনের সময় বাড়ি এসে আটকে পড়ে। মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ, “  তাইবুল হোসেন তাঁর দলবল নিয়ে এলাকায় বোমাবাজি করতে থাকে ।ভাঙচুর চালায় গ্রামের বাড়িগুলোতে। সেই সময় কী হয়েছে সেটা দেখতে বাড়ির বাইরে য়ায় চন্দন। তাঁকে সামনে পেয়ে তাইবুল এবং সঙ্গীরা প্রথমে বোমা মারে তারপর গুলি চালায়। বাধা দিতে গেলে আমাদের লক্ষ্য করে বোমা গুলি চালায় তাইবুল হোসেনের ছেলেরা। পরিবারের অনেকেই আহত হয়েছে।“ 


সূত্রের খবর, তাইবুলের ছেলেরা এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে। এই খবর লাল্টু খানের কাছে পৌছতেই তাঁর দলবল এসে পাল্টা আঘাত হানে। আর এতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হরিণখোলা ঘোল তাজপুর।  সংঘর্ষের ঘটনায় ১ নারা গেলেও আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। বিশাল পুলিস বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। ঘটনার পর থেকেই মূল অভিযুক্ত তাইবুল হোসেন পলাতক। এই ঘটনায় পুলিস তাইবুলের বাবা সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। নতুন করে যাতে আর উত্তেজনা সৃষ্টি না হয়, তারজন্য পুলিসের সঙ্গে এলাকায় RAF  টহল দিচ্ছে।


আরও পড়ুন, সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য, গ্রেফতার ১ যুবক