নিজস্ব প্রতিবেদন : সন্তান হচ্ছে না কেন? এই প্রশ্নে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে। গৃহবধূর গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে অত্যাচার করার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এই নিয়ে সালিশি সভা বসে ময়নাগুড়ির মৌয়ামারিতে। সেই সালিশি সভায় দুপক্ষের বাগবিতণ্ডা থেকে বাঁধল রক্তারক্তি কাণ্ড। জখম হলেন বেশ কয়েকজন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, সম্বন্ধ দেখতে গিয়ে পাত্রীর দাদার 'ফাঁদে' ধরা দিলেন ঠগ পাত্র, পুরো যেন সিনেমা!


জারা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে ময়নাগুড়ির মৌয়ামারির বাসিন্দা কৃষ্ণ পালের সঙ্গে বিয়ে হয় অভিযুক্তার। অভিযোগ, বিয়ের সময় এক লাখ টাকা পণ নিয়েছিলেন কৃষ্ণ পাল। সেই সঙ্গে যৌতুক হিসেবে ছিল সোনাদানা, আসবাবপত্র সবই।  কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর উপর অত্যাচার শুরু করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। লাখ টাকা পণ, যৌতুক দিয়ে বিয়ে দিলেও বিয়ে কোনওভাবেই সুখের হয়নি। বিয়ের মাস ছয়েক পর থেকে নির্যাতনের মাত্রা চরমে ওঠে।


আরও পড়ুন, হারাচ্ছেন চেয়ার! রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য 'দুঃসংবাদ'


মহিলার বিরুদ্ধে সন্তান না হওয়ার অভিযোগ এনে অত্যাচার শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে চিকিত্সকের সাহায্যও নিয়েছিলেন গৃহবধূ। কিন্তু সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। বরং চিকিত্সকের কাছ থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা যখন জানতে পারে যে, গর্ভধারণে গৃহবধূর কোনও সমস্যা নেই, তখন নির্যাতনের মাত্রা আরও চড়ে। এই পরিস্থিতিতে অশান্তি মেটাতে গ্রামে সালিশি সভা বসানো হয়।


আরও পড়ুন, স্বামী থাকে বিদেশে, পড়শি যুবকের সঙ্গে 'বন্ধুত্ব' গৃহবধূর, পরিণতি ভয়ঙ্কর


অভিযোগ, সভা চলাকালীন-ই দু'পক্ষের মধ্যে লাঠালাঠি শুরু হয়ে যায়। ধুন্ধুমার বেঁধে যায় শ্বশুরবাড়ি ও বাপেরবাড়ির লোকেদের মধ্যে। সংঘর্ষের জেরে আহত হন কমপক্ষে ১০ জন। পরে পুলিস এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বর্তমানে ৩ জন জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ননদ মমতা পাল।