নিজস্ব প্রতিবেদন : গৃহশিক্ষকের প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে আত্মঘাতী হল এক স্কুলছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার গাজোল থানার শঙ্করপুর এলাকায়। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে গাজোল থানার পুলিশ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মৃতার নাম দেবলীনা সরকার, বয়স ১৫ বছর। স্থানীয় গাজোল এলাকার শ্যামসুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। দেবলীনার কাকা অজিত মন্ডল জানিয়েছেন, দশম শ্রেণিতে ওঠার পরই পাশের গ্রামের বিবেকানন্দ পল্লির শিক্ষক পুরঞ্জয় ঘোষের কাছে প্রাইভেট টিউশন পড়তে শুরু করে সে। সেই সূত্রেই মাসখানেকের মধ্যে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।


আরও পড়ুন, "দাদা পরীক্ষা আছে, যেতে দিন!" পালসিটে গাড়িতে হামলা বনধ সমর্থনকারীদের, ধৃত ২


অভিযোগ, এরপর তিন মাস আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় যুগল। সেইসময় ওই গৃহ শিক্ষকের নামে গাজোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে দেবলীনার পরিবার। অবশেষে পুলিস গিয়ে উদ্ধার করে নাবালিকা দেবলীনাকে। এরপর থেকেই নাকি পুরঞ্জয় ঘোষ নামে ওই শিক্ষক দেবলীনাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। বিয়ে করতে অস্বীকার করে।


এই নিয়ে সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত কিছুদিন ধরেই দুজনের মধ্যে অশান্তি চলছিল। গতকাল রাতেও ফোনে কথোপকথনের সময় দুজনের মধ্যে তীব্র কথা কাটাকাটি হয়। ফোনে কথোপকথনের পরই ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় দেবলীনা।


আরও পড়ুন, ডাকাতদের চিনে ফেলেছিলেন গৃহকর্তা, অতঃপর ধারালো অস্ত্রের কোপ


এদিকে, বিপদ আশঙ্কা করে রাতেই বাড়িতে আসেন পুরঞ্জয়। দেবলীনাকে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজায় ধাক্কা মারেন। তাতেও কোনও সাড়া না পেয়ে বাড়ির লোককে পুরঞ্জন জানান যে দেবলীনা আত্মহত্যা করেছে। গৃহশিক্ষক পুরঞ্জয়ের মুখে একথা শুনে দরজা ভেঙে দেবলীনার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন বাড়ির লোকেরা।


দেখা যায়, গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে দশম শ্রেণির ছাত্রী দেবলীনা। এদিকে বেগতিক দেখে তখনই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান পুরঞ্জয়। এই ঘটনায় গৃহশিক্ষক পুরঞ্জয় ঘোষের নামে গাজোল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে দেবলীনা পরিবার।