"দাদা পরীক্ষা আছে, যেতে দিন!" পালসিটে গাড়িতে হামলা বনধ সমর্থনকারীদের, ধৃত ২
ঝান্ডা উঁচিয়ে তেড়ে আসেন বনধ সমর্থনকারীরা। গাড়ির কাঁচ লক্ষ্য করে ইটের আধলা ছুঁড়তেও উদ্যত হন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বাম শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার বনধের প্রথম দিন পরীক্ষার্থীদের গাড়িতে হামলা করেছিলেন বনধ সমর্থকরা। বর্ধমানের পালসিটের সেই ঘটনায় এদিন গ্রেফতার করা হল ২ জনকে। যদিও ধৃতদের দাবি, গতকালকের ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই।
বনধের প্রথম দিনে উত্তেজনা ছড়ায় বর্ধমানের পালসিটে। মেমারি থেকে একদল পরীক্ষার্থী গতকাল গাড়ি ভাড়া করে বর্ধমানে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে পালসিটে অবরোধের মুখে পরীক্ষার্থীদের গাড়ি। অভিযোগ, পরীক্ষার্থীদের গাড়ির উপর হামলা করেন বনধ সমর্থকরা। ঝান্ডা উঁচিয়ে তেড়ে আসতে দেখা যায় তাঁদের। একজন সিটু সমর্থক বাঁশ নিয়ে গাড়ির কাঁচে হামলা করেন। গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। গাড়ি লক্ষ্য করে ইটের আধলা ছুঁড়তেও উদ্যত হন তাঁরা।
আরও পড়ুন, বনধের দ্বিতীয় দিনেও যাদবপুরে তুমুল উত্তেজনা, ফের আটক সুজন চক্রবর্তী
গাড়ির ভিতর ছিলেন মেমারি কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রীরা। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজ কলেজে পরীক্ষার সিট পড়েছে ওই পরীক্ষার্থীদের। হামলার ঘটনায় চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। বনধ সমর্থকদের চোখ রাঙানির সামনে কাতর স্বরে তাঁদের বলতে শোনা যায়, "দাদা, পরীক্ষা আছে। আমাদের যেতে দিন।" গাড়ির ভিতর থেকে বার বার করুণ আর্জি রাখতে শোনা যায় পরীক্ষার্থীদের। এমনকি গাড়িচালককেও অনুরোধ করতে দেখা যায়।
পালসিটে বনধ সমর্থনকারীদের তাণ্ডবের সেই ছবি ধরা পড়ে ক্যামেরায়। সেই ঘটনায় এদিন দুজনকে গ্রেফতার করল পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিস। ধৃতদের নাম প্রশান্ত হাজরা ও বাপন মালিক। ধৃতরা তারা সিপিএমের সক্রিয় সদস্য বলে পরিচিত। যদিও ধৃতদের দাবি, কালকের ওই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই। ধৃতদের দাবি, "আমরা ছিলাম না। আমাদের দেখা যায়নি। জোর করে আমাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।"
আরও পড়ুন, হাবড়ায় রেললাইনের ওপর বোমা, বনগাঁ শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত
স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, পরীক্ষার্থীদের গাড়িতে কোনও হামলা হয়নি।পরীক্ষার্থীদের গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়। যে গাড়ির ছবি দেখানো হচ্ছে, সেটি আসলে আমুলের গাড়ি।