Sabang: খেলতে গিয়ে `নিখোঁজ` মেয়ে! রান্নাঘরে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে পাওয়া গেল ঝুলন্ত অবস্থায়
পরিবারের সদস্যদের দাবি, এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং। খুন নাকি আত্মহত্যা? ধোঁয়াশা ছড়িয়েছে এই ঘটনায়। মৃত ছাত্রীর নাম মাম্পি খাটুয়া। বয়স ১০ বছর।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের ৫ নম্বর সারতা অঞ্চলের বীরকোটা গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণচন্দ্র খাটুয়া। স্ত্রী বিষ্ণুপ্রিয়া খাটুয়া, বড় মেয়ে মাম্পি খাটুয়া ও ৩ বছরের ছেলেকে নিয়ে সংসার। ওই এলাকারই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী মাম্পি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে বাবা, মা জমিতে ধানের কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেইসময় বাড়ির পাশে একটি মাঠে প্রতিদিনের মত গতকাল বিকেলেও খেলতে যায় ওই ছাত্রীর। এরপর বাবা পূর্ণচন্দ্র খাটুয়া বিকেলে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পর দেখতে পান যে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও মেয়ে ফেরেনি। মেয়েকে দেখতে না পেয়েই পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
তারপরই বাড়ির রান্নাঘরে ওই চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের লোকেরা। ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়। তড়িঘড়ি ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে এরপরই সবং থানার পুলিস আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের জন্য খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে দেহটি পাঠিয়েছে পুলিস।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, ওই নাবালিকা কোনওভাবে আত্মহত্যা করতে পারে না। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে। এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছে মৃত ছাত্রীর পরিবার। আত্মঘাতী নাকি খুন? ওই ছাত্রীর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কি? জানতে একটি অস্বাভাবিক মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
Howrah: ফেসবুকে ব্যস্ত থাকা নিয়ে চরম অশান্তি, স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী!