Bardhaman shocker: `স্কুলে কি কিছু হয়েছিল!`, ঘরের বারান্দায় মিলল দশম শ্রেণির ছাত্রের দেহ
Bardhaman shocker: ওই ঘটনা নিয়ে গ্রামের বাসিন্দারা স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির সভাপতি সেখ কামাল হাসান বলেন, আমাদের গ্রামের ছেলের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক ঘটনা। যদি কেউ দোষ করে তার শাস্তি হোক
পার্থ চৌধুরী: স্কুলের দেওয়াল নোটিসে লেখা "আমাদের ছাত্র ওসমান গনি চৌধুরীর আকস্মিক মৃত্যুর জন্য আমরা শোকস্তব্ধ।' দশম শ্রেণির এক তরতাজা ছাত্রের আকস্মিক মৃত্যুতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা গ্রাম। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় স্কুলকেই দুষছেন গ্রামের কেউ কেউ। ঘটনা বর্ধমানের শক্তিগড়ের মাঠপাড়ায়।
আরও পড়ুন-দমকা হাওয়ায় উড়ে গেল গয়না সমেত আস্ত আলমারি! মেয়ের বিয়ে ভেস্তে দিল ভয়ংকর ঝড়
সোমবার দুপুর দুটো নাগাদ বাড়ি বারান্দা থেকে উদ্ধার হয় ওসমান গনি(১৬) চৌধুরীর ঝুলন্ত দেহ। সেই দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল ওসমানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরেরা।
মৃতের জেঠু আব্দুল্লা চৌধুরী জানান, ওসমানের বাবা, মা কর্মসূত্রে মহারাষ্ট্র থাকেন। আলাদা বাড়ি থাকলেও ওসমান তাদের তত্বাবধানে থাকত। টোটো চালিয়ে বাড়ি ফিরে জানতে পারি ওকে পরীক্ষায় দশম শ্রেনির ইউনিট টেষ্টে বসতে দেওয়া হয়নি। ও ঘরে শুয়ে আছে। আমার বড় মেয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে ওসমান গনিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। স্কুলের উচিত ছিল আমাদের জানানো।
ওই ঘটনা নিয়ে গ্রামের বাসিন্দারা স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির সভাপতি সেখ কামাল হাসান বলেন, আমাদের গ্রামের ছেলের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক ঘটনা। যদি কেউ দোষ করে তার শাস্তি হোক। তবে আজ কোনো খোঁজ নেওয়া যায়নি।
মৃতের জেঠতুতো দিদি মনিরা খাতুন জানান, আমাদের বাড়ি থেকে কাকার বাড়িতে গিয়েছিলাম। দরজা খুলে দেখলাম ও ঘরে ঝুলছে। দরজা লাগানো আছে। ফ্যান চলছে। সবকিছু দেখে চিত্কার করে উঠি। আমার চিত্কার শুনে বাড়ি থেকে লোকজন ছুটে আসে। স্কুল থেকে ফিরে এই ঘটনা হয়েছে। স্কুলে কিছু হতে পারে। শুনছি ওকে ইউনিট টেস্ট দিতে দেয়নি। ওর পকেটে একটা নোট ছিল। সম্প্রতি ওর হাত ভেঙেছিল। সেই কারণে কিছুদিন স্কুলে যায়নি। স্কুল থেকে ফিরে আমাদের কিছু বলেনি। শুনছি ওর বাবা স্কুলে ফোন করেছিল। তার পরেও টেস্টে বসতে দেয়নি।
ওসমানের জেঠু বলেন, কী হয়েছিল তা ঠিক বলতে পারব না। টোটো চালিয়ে বাড়িতে এসে শুনলাম ওকে পরীক্ষায় বসতে দেয়নি। আমি বললাম তাহলে ওকে গার্জেন কল করতে পারত। এরকম কথা বলছি, স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসা করছি। জানতে পারলাম ও ঘরে শুয়ে রয়েছে। এর মদ্যেই মেয়ে ওর ঘরে গিয়েছিল। গিয়ে দেখে ওই কাণ্ড। ওর চিত্কার শুনে আমরা ছুটে গেলাম। কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ করব বুঝতে পারছি না। ভাই ফিরছে। ও এসে যা করার করবে। শুনছি ওকে ইউনিট টেস্টে বসতে দেয়নি।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)