নিজস্ব প্রতিবেদন:   দুর্গাপুর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ স্কুল ছাত্রীকে দু’দিন পর পাওয়া গেল আসানসোল জেলা হাসপাতালে। তাও আবার মাথা ফাটা অবস্থায়। কেন তার এই অবস্থা হল? ছাত্রীর বয়ানে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা শুনে শিউরে উঠলেন দুঁদে তদন্তকারীরাও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



দুর্গাপুরের কোক ওভেন থানা এলাকার শ্যামপুরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী গত ২ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর খুঁজে না পেলে রাতে কোক ওভেন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় পরিবারের তরফে।


বৃহস্পতিবার কোকওভেন থানার পুলিস ওই ছাত্রীর পরিবারকে খবর দেয়, ওই ছাত্রী আসানসোল হাসপাতালে ভর্তি আছে। পরিবারের সদস্যরা গিয়ে দেখেন তাঁদের মেয়ের মাথা ফেটে গিয়েছে, ব্যান্ডেজ করা।


ওই ছাত্রীর বয়ান অনুযায়ী,  গত জানুয়ারি মাসে বাড়িতে টিউশন পড়াতে আসত এলাকারই গৃহশিক্ষক সঞ্জয় চক্রবর্তী। কয়েক দিন টিউশন পড়ানোর পর ছেড়ে দেয় সে।


ছাত্রীর অভিযোগ,  সেই সময় ওই শিক্ষক তার স্নান করার ছবি তুলে রেখেছিল। আর তা দিয়েই ব্ল্যাকমেল করছিল। এমনকি বাড়িতে জানালে তার বাবা-মাকেও মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছিল সে।


বিজেপি কর্মীর 'রহস্যমৃত্যু' গোয়ালতোড়ে, ঘরের বিছানার উপর মিলল রক্তাক্ত দেহ


তাতেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল ওই ছাত্রী। সেই কারণেই সে স্কুল যাওয়ার পথে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এবং ওই ছাত্রী বাড়িতে একটি চিঠিও লিখে যায়। যদিও মেয়েটির মা স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তাঁর মেয়ে অল্প হলেও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে।


ছাত্রীটির বয়ানে জানা গিয়েছে, সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাসে করে আসানসোলে যায়। তারপর আসানসোল থেকে ট্রেনে উঠতে গিয়ে পড়ে যায়। তখনই অচৈতন্য হয়ে পড়ে সে। রেল পুলিশ আসানসোল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। হাসপাতালের তরফে পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জ্ঞান ফিরলে পুলিশ ছাত্রীটির পরিচয় জানতে পেরে তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়।


অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক সঞ্জয় চক্রবর্তীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। তবে পুলিসের দাবি, ওই ব্যক্তির কথায় কোনওকিছুই অসংলগ্ন বিষয় ধরা পড়েনি। এমনকি তাঁর মোবাইলেও ছাত্রীর স্নান করার ছবি খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে জানা গিয়েছে, যে কয়েকদিন ছাত্রীকে সে পড়িয়েছিল, তার বেতন চেয়েছিল সে। দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী কেনই বা বাড়ি থেকে পালাল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।