নিজস্ব প্রতিবেদন:  পাশের ঘরে খেলছিল দিদি। রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন মা। গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় শোওয়ার ঘর থেকে উদ্ধার হল দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভাটপাড়ার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনপল্লির বাসিন্দা পূজা মজুমদার। সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ঘর থেকেই পূজার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, গামছা নিয়ে খেলতে খেলতে গলায় ফাঁস লেগে দুর্ঘটনা ঘটেছে। পূজার দিদি জানিয়েছে,  সকালে তার বোনকে মা বকাবাকি করে। তারপরই বিকালে উদ্ধার হয় পূজার দেহ। সেক্ষেত্রে এই ঘটনাকে আত্মহত্যাও বলে মনে করছেন পরিবারের অনেকে।


আরও পড়ুন: থেঁতলে গেল মাথা-পেট, মানিকতলায় বাসের রেষারেষির বলি ২ কিশোর


যদিও প্রতিবেশীরা এই বিষয়ে সন্ধিহান। পড়শিদের অনেকে বলছেন, পূজার দেহ গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় বাড়ির কড়িকাঠে ঝুলছিল। অত উঁচুতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে কোনও ছোটও বাচ্চার ঝুলে পড়া প্রায় অসম্ভব বলে মত প্রতিবেশীদের। খাটের আশেপাশে টুল জাতীয় কোনও উঁচু জিনিসও ছিল না, যার ওপর দাঁড়িয়ে পূজা এই কাজ করতে পারে। তাছাড়াও বাড়িতে থাকা সত্বেও কেন কিছুই বুঝতে পারেননি পরিবারের অন্য সদস্যরা, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। পূজার মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য রহস্য দেখছেন প্রতিবেশীরা। 


তবে তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে,  শিশুটি খুব বেশি সত্য ঘটনা অবলম্বনে বলে দাবি করা টেলিভিশন শো দেখত। এছাড়াও কার্টুন দেখত। মাঝেমধ্যে খেলার ছলে সেগুলি নিজের ওপরও প্রয়োগ করত সে। তার জেরেই এই ঘটনা কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।