নিজস্ব প্রতিবেদন: NRS-এ ‘বহিরাগত তত্ত্ব’-তেই অনড় থাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীজপুরের সভা থেকেও দৃঢ় কন্ঠে বললেন, “সেদিন জানেন কে NRS-এ ভাষণ রাখছিল, গেট আটছিল? জানেন কেন আপনি বলেছি বহিরাগত আছে? সেদিন এনআরএস-এ যে ছেলেটা বক্তব্য রাখছিল, খোঁজ নিয়ে দেখুন তার নাম দীপক গিরি। সে ক্যালকাটা হার্ট রিসার্চ সেন্টারে গত ১০ বছর ধরে চাকরি করছে। বলুন তো, সে কীভাবে এনআরএস-এর জুনিয়র ডাক্তার হয়?”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



তিনি আরও বলেন, “ আমি বলিনি সবাই বহিরাগত। তবে কিছু বহিরাগত যে রয়েছে, সেটা আমি বলেছি।” সংবাদমাধ্যমে বাড়িয়ে খবর দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।  মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখুন আপনারাই, ওই ছেলেটা কোন দলের হয়ে কাজ করে? তাহলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, আমি কেন ওই কথাগুলো বলেছি।”


‘মানুষের কাছে আপনারা ভগবান’, ফেসবুক পোস্ট করে চিকিত্সকদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ ফিরহাদের


প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার এসএসকেএম-এ যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রোগী পরিজনদের সঙ্গে কথা বলার পর ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, "৪ দিন ধরে রোগী পড়ে আছে। কয়েকজন মিলে তাণ্ডব চালাচ্ছে। আমার মন্ত্রী গিয়েছেন, পুলিস কমিশনার গিয়েছেন। যাঁরা নাটক করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা নেব।" মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, "যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা কেউ জুনিয়র ডাক্তার নয়। তাঁরা আউটসাইডার। বিজেপি-সিপিআইএম উসকানি দিচ্ছে। শুধু হিন্দু-মুসলাম করা হচ্ছে।"  হাসপাতালে রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।


এরপরই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ গলায় আইকার্ড ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আন্দোলনরত চিকিত্সকরা। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও মুখ্যমন্ত্রী ‘বহিরাগত তত্ত্ব’এই অনড় রইলেন।