নিজস্ব প্রতিবেদন: 'ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে আমাদের সামাল দিতে হচ্ছে। বিহারে বৃষ্টি হলে আমাদের সামাল দিতে হচ্ছে'। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ফের DVC-কে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষুদ্ধ মমতার কথায়,  'মাঝরাতে যদি জল ছাড়ে, তাহলে ঘুমন্ত অবস্থায় মানুষ মরে যাবে। এটা পাপ, অন্যায়'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার দুর্যোগে চলছে। নিম্নচাপের বৃষ্টি যেন থামতেই চাইছে না! পুজোর মুখে ফের বন্যা পরিস্থিতি আসানসোল, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। জল বেড়েছে দামোদর, অজয় নদে। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর, পান্ডবেশ্বর, অন্ডাল, ইলামবাজার, মেজিয়া ও পুরুলিয়ার বিভিন্ন ডুবে গিয়েছে। জলের তলায় হুগলির খানাকুল, আরামবাগের বিস্তীর্ণ এলাকা। বৃষ্টির জলে ফুঁসছে শিলাবতী, দ্বারকেশ্বর, রুপনারায়ণও। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, চন্দ্রকোনার পরিস্থিতিও তথৈবচ।  আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার মুখ্যমন্ত্রী নিজে আকাশপথে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন।


আরও পড়ুন: Weather Today: প্রবল বর্ষণের সতর্কতা রাজ্যে, ভারী বৃষ্টিতে ভাসবে উত্তরবঙ্গ, ছিটেফোঁটা দক্ষিণে


কেমন এমন পরিস্থিতি? ফের DVC-র বিরুদ্ধে ক্ষোভে উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'যেহেতু ওদের প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। আসানসোলেও এত বৃষ্টি আগে কখনও হয়নি। পরশু রাত ৩টের সময়ে ঝাড়খণ্ড রাজ্য থেকে আমাদের না জানিয়ে আসানসোলে জল ছেড়়ে দেয়। ফলে আসানসোল, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া পুরো ডুবে গিয়েছে। কালকে আবার ডিভিসি ১ লক্ষ কিউসেকের উপর জল ছেড়েছে'। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়,  'ওরা যদি ওদের বাঁধ ও ক্যানালগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে, তাহলে অনেক জল ধরতে পারে। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে না। ড্রেজিং করে না। মাঞ্চেত, মাইথন, তেনুঘাটে ২ লক্ষ কিউসেক মেট্রিক টন আরও ধরতে পারে। ওদের খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে। এটা অন্যায়'।


আরও পড়ুন: BJP: জল্পনার অবসান, দল ছাড়লেন বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণকল্যাণী, এবার কি তৃণমূলে?


স্রেফ DVC-কে বিরুদ্ধে ক্ষোভই নয়, রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতিকে 'ম্যানমেড' বলেও উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কোনওরকম রাখঢাক না করেই তিনি বলেন, 'যদি বৃষ্টির জন্য বন্যা হত, তাহলে বুঝতাম। নিঃসন্দেহে বেশি বৃষ্টি হচ্ছে, আমরা সামলাচ্ছি। বন্যাটা কিন্তু হচ্ছে জল ছাড়ার জন্য। ম্যানমেড বন্যা'। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকে মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে দান করার আহ্বান জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।