নিজস্ব প্রতিবেদন: 'দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যানার্জি পরিবার'। বোমা ফাটালেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikar)। কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন, গনেশ বাগারিয়া ও এক 'অপরিচিত'র কথোপকথনের অডিয়ো টেপ প্রকাশ্যে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) ক্ষেত্রে সরকারি মদতপুষ্ট সবথেকে বড় দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হল। তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool) নেতা দলের সেকন্ড ইন কমান্ড 'ভাইপো' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কাছে সরাসরি ৯০০ কোটি টাকা পৌঁছে দিয়েছে একটা বড় চক্র। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লালা ওরফে অনুপ মাজি (Anup Maji) এই চক্র চালাত বলে দাবি করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, 'আমি বারুইপুরের সভা থেকে বলেছিলাম কীভাবে থাইল্যান্ডের (Thailand) একটি বিশেষ অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আমি প্রমাণ তুলে ধরেছিলাম। তখন বলা হয়েছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। অডিয়ো টেপ প্রকাশিত হওয়ার পর, আমার কথা সত্য প্রমাণিত হল।'


আরও পড়ুন: WB Assembly Election 2021: BJPর ভয়ে ন্যাকা কান্না নয়, পাড়ার ঝগড়ুটে মহিলাদের বুথ এজেন্ট করা হবে: মমতা


শুভেন্দু আরও বলেন, বাংলার স্বার্থে এই চক্রের ইতি টানা দরকার। বিনয় মিশ্র (Binay Mishra) প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল নেতারা তা এড়িয়ে যান। এই দুর্নীতি শুরু হয়েছে ২০১২-১৩ সাল থেকে। বিনয় মিশ্রকে ২০১৩ সালে তৃণমূল যুবার রাজ্যের ভাইস প্রেসিডেন্ট করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় তাঁকে আটকাতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু। এই বিনয় মিশ্র (Binay Mishra) এই মুহূর্তে ফেরার। এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর ভাই বিকাশ মিশ্র। আগেই গ্রেফতার হয়েছেন গনেশ বাগারিয়া (Ganesh Bagaria)। শনিবার রাতে দিল্লি (Delhi) থেকে বাঁকুড়ার আইসি অশোক মিশ্রকে (Ashok Mishra) কয়লা পাচার, বালি পাচার, গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বিনয় মিশ্রের (Binay MIshra) দূর-সম্পর্কের ভাই বলে জানা গিয়েছে।


এই অশোক মিশ্র (Ashok Mishra) নিজে পুলিসের গাড়ি করে শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan) টাকা পৌঁছে দিত বলে জানান শুভেন্দু। এমনকি যে এজেন্সি (PKর IPAC) গত দেড় বছরে তৃণমূলের কাজে ব্যবহৃত হয়েছে, তার টাকাও একইভাবে গিয়েছে। এটারও তদন্ত হোক বলে দাবি তুললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু জোরদার দাবি তুললেন, মুখ্যমন্ত্রী (Cm Mamata Banerjee) কিছুতেই এই দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না। তিনি যতদিন 'দিদি ছিলেন', সব সিনিয়র নেতারা তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তিনি 'পিসি' হওয়া মাত্রই সবাই তাঁকে ছেড়ে চলে গেছেন।