নিজস্ব প্রতিবেদন: জামাই ষষ্ঠীতে মেয়ে - জামাইয়ের জন্য নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কুমিরের মুখে প্রাণ গেল প্রৌঢ়ের। সুন্দরবনের গোবর্ধনপুর উপকূল থানার ঘটনা। সোমবার রাতে নদীতে ভেসে ওঠে দেহ। উত্সবমুখর বাড়িতে ওঠে কান্নার রোল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার সুন্দরবনের জগদ্দল নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন অনুকূল মাইতি (৪০)। তার পর আর তাঁর খোঁজ পায়নি কেউ। বেলা ৩টের পর জানা যায় কুমিরে টেনে নিয়ে গিয়েছে  অনুকূলবাবুকে। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় বনদফতর ও প্রশাসনের কাছে। তড়িঘড়ি রামগঙ্গা রেঞ্জের আধিকারিক-সহ কর্মীরা হাজির হন ঘটনাস্থলে। 


রেঞ্জ অফিসারের নেতৃত্বে রবিবার বিকেল থেকে রাতভর চলে তল্লাশি। তবে দেহ মেলেনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত কুমির টাটকা প্রাণীর মাংস খায় না। কোনও প্রাণীকে মেরে ফেলার পর তা জলের নীচে বা নদীর পাড়ে কাদায় কোথাও লুকিয়ে রেখে দেয় পচন ধরার অপেক্ষায়। পচন ধরলে শরীর ভেসে উঠলে তখন কুমির খাওয়া শুরু করে। ওদিকে নোনা জলে দেহ পড়লে গরম কালে তা ভেসে উঠতে লাগে অন্তত ২৪ ঘণ্টা সময়।   


গরমের জেরে পঠনপাঠন বন্ধ করল কলকাতার একাধিক বেসরকারি স্কুল, দেখে নিন তালিকা


এই তত্ত্ব মিলিয়ে সোমবার রাত ১১টা নাগাদ ভেসে ওঠে অনুকূলবাবুর দেহ। দেহ উদ্ধার করে গোবর্ধনপুর উপকূল থানার হাতে তুলে দিয়েছে বনদফতর। মঙ্গলবার কাকদ্বীপ হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত হয়।