প্রদ্যুৎ দাস ও অরূপ বসাক: শীত পড়বে কি পড়বে না, এই নিয়ে ধন্দ প্রতি বছরই থাকে। বিশেষত এই ক্রিসমাসে। কেননা, এই সময়টায় মানুষ বেড়াতে যান বা পিকনিকে যান। ফলে শীত না থাকলে তা জমে না। এবার ক্রিসমাসের শুরুতেই ঠান্ডা কমে যায়। ফলে, মন খারাপ হয়ে যায় শীতপ্রেমীদের। কিন্তু আজ, ৩১ ডিসেম্বরে বছরের শেষ দিনে আবার উৎফুল্ল তাঁদের মন। উৎফুল্ল উত্তরবঙ্গবাসীদের মনও। আনন্দ মালবাজার জলপাইগুড়িতেও। কারণ, বছরশেষে ফের শীতের কামড় সেখানে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Bengal Weather: বছরশেষে দার্জিলিঙে তুষারপাত! সন্ধ্যায় শীতের আমেজ কলকাতায়...


বছরের শেষ দিন রবিবার সকাল থেকে কুয়াশা ও শীতের আমেজ জলপাইগুড়ি জুড়ে। বছরশেষের দিনে সকাল থেকে কুয়াশার দাপট দেখা গেল জলপাইগুড়ি, ধূপগুড়ি-সহ গোটা জেলায়। সঙ্গে চলছে শীতের হাওয়া। রীতিমতো শীতের আমেজ। ডিসেম্বরের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে কিছুটা কুয়াশা ও শীত পড়লেও পরে শীত ও ঠান্ডা উধাও হয়ে যায়! দুপুরের দিকে রোদের দাপট। কিন্তু পটবদল বছরের শেষ দিনে। এখানে ফের কুয়াশা ও শীতের দাপট আজ। 


এদিন সকাল থেকেই শীতল হাওয়া ও কুয়াশার কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হননি। প্রাতঃভ্রমণকারীরা সকালের দিকে ভিড় জমিয়েছেন চায়ের দোকানে। ফের শীত পড়ায় রীতিমতো খুশি সকলে। উত্তুরে হাওয়ায় জুবুথুবু জলপাইগুড়ি।


বছরের শেষ দিনে যে শীতের দাপট হতে পারে, তার আভাস মিলেছিল অবশ্য গতকাল রাতেই। গতকাল শনিবার বিকেলের পর থেকে কনকনে ঠান্ডা পড়েছিল জলপাইগুড়িতে। বিকেল থেকে শুরু হয়েছিল উত্তুরে হিমেল হাওয়া। এর জেরে কার্যত গুটিসুটি মেরে ঘরে ঢুকে গিয়েছিলেন মানুষজন। সন্ধ্যার পর থেকে রাস্তায় তেমন ভাবে লোকজন দেখা যাচ্ছিল না কালই। পাড়ায় পাড়ায় রাস্তার ধারে আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিতে দেখা গিয়েছিল বহু মানুষকে। চলতি সপ্তাহে তেমনভাবে শীতের প্রকোপ ছিল না জলপাইগুড়িতে। সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ছিল অন্যান্যবারের তুলনায় বেশি। কিন্তু শনিবার বিকেলের পর থেকে শুরু হয় হিমেল হাওয়া।


আরও পড়ুন: Nadia: বিএসএফ জোগাচ্ছে সুতো, মহিলারা বুনছেন কাঁথা! স্বনির্ভরতার নতুন কথা নদিয়ায়...


একই ছবি ডুয়ার্সে। বছরের শেষ দিনে কুয়াশার দাপট ডুয়ার্স জুড়ে। ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে ডুয়ার্স। সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা। রাত থেকেই অবশ্য কুয়াশা ছিল ডুয়ার্সে। ভোর নাগাদ কুয়াশার দাপট আরও বাড়ে। সকাল ন'টার পরেও রোদের দেখা পাওয়া যায়নি। কুয়াশার জন্য দৃশ্যমানতা খুবই কম। রাস্তাঘাট ফাঁকা। কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও আলো জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে গাড়িগুলিকে। আজ ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় সাপ্তাহিক হাট কিন্তু কুয়াশা এবং ঠান্ডার কারণে এখনও কোথাও হাট বসেনি। খোলেনি দোকানপাট। 


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)