নিজস্ব প্রতিবেদন- ইউজিসির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, পয়লা নভেম্বর থেকে আগামী শিক্ষা বর্ষের ক্লাস চালু করে দিতে হবে। এছাড়া ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের ভর্তির প্রক্রিয়াও শেষ করে ফেলতে হবে বলে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছিল। রবিবার উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রথমে ২ নভেম্বর কলেজে ক্লাস শুরুর করার ব্যাপারে সম্মতি দেন। তার পর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, ''ইউজিসি তো আর বাংলার উত্সব সম্পর্কে জানে না। দু্র্গাপুজো, কালিপুজো, ভাইফোঁটা। উত্সবের মরশুম সামনে। ২রা নভেম্বর থেকে কী করে ক্লাস শুরু হবে! পরিস্থিতি বিচার করে আগামী শিক্ষাবর্ষ এক মাস পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। করোনা পরিস্থিতিতে সব রকম স্বাস্থ্যবিধি ও নিষেধাজ্ঞা মেনে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন স্বাভাবিক নিয়মে চালু করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। প্রথমে ঠিক হয়, ভর্তি প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে ১৮ নভেম্বর বা পয়লা ডিসেম্বর থেকে স্নাতকোত্তর এ ক্লাস শুরু হবে। কিন্তু পরে শিক্ষামন্ত্রী এই সিদ্ধান্তে বদল আনেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতোকোত্তরের ফলপ্রকাশ হবে ৩১ অক্টোবর। শিক্ষামন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন. ডিসেম্বরের আগে কোনোভাবেই স্নাতোকোত্তরের ক্লাস শুরু করা সম্ভব নয়।


শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ''ডিসেম্বরের ১-২ তারিখ থেকে অ্যাকাডেমিক সেশন করা যায় কিনা দেখা হবে। তবে স্নাতক স্তরের ক্লাস নভেম্বরে শুরু হলেও সেটা হবে অনলাইনে। অ্যাকাডেমিক সেশন শুরুর আগে স্বাস্থ্যের কথাটাও মাথায় রাখতে হবে। ডিসেম্বরের আগে অ্যাকাডেমিক সেশন শুরু হবে বলে মনে হয় না। 
এই পরিস্থিতিতে কলেজে শারীরিক উপস্থিতি সম্ভব নয়।''