নিজস্ব প্রতিবেদন:  কেউ ৮ বছর। কেউ আবার ১০ বছর। কেউ কেউ আবার ১২-১৪ বছর ধরে চুক্তিভিত্তিক গ্রন্থাগারিকের কাজ করে চলেছেন। কিন্তু এখনও কেউ স্থানী হননি। শনিবার সেই বিষয়েই সরকারকে নিজেদের দাবির কথা জানালেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার কলেজের গ্রন্থাগারকর্মীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কোভিড-পর্বে বই এক শ্রেণির মানুষের কাছে আবার নতুন করে পরম বন্ধু হয়ে উঠেছে। এখন তো তবু আনলক-পর্ব চলছে। কিন্তু যে সময়টায় 'ফুল লকডাউন' চলছিল, সেই পর্বে বেশ কিছু মানুষ সময় কাটাবার লক্ষ্যে আবার নতুন করে বইয়ের কাছে ফিরে গিয়েছে। 


মানুষ বইয়ের কাছে ফিরলে কী হবে, লাইব্রেরি তো আর মানুষের দিকে ফেরেনি। লাইব্রেরির অবস্থাও যেমন খারাপ, তেমনই খারাপ অবস্থা সেই লাইব্রেরিতে কাজ করা মানুষগুলিরও। কোভিডে পাড়ায় পাড়ায় লাইব্রেরি খোলেনি। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বন্ধই কলেজের লাইব্রেরি। কিন্তু কোভিড-পর্ব মিটলেও কি বদলাবে এই সব লাইব্রেরির কর্মীদের অবস্থা?


কোনও নিশ্চয়তা নেই। রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন কলেজের গ্রন্থাগারে কাজ করে চলা কর্মীদের তাই দুশ্চিন্তার শেষ নেই। তাঁদের স্থায়ী হওয়ার কথা থাকলেও থমকে গিয়েছে গোটা প্রক্রিয়া। কবে হবে বা আদেও হবে কিনা-- এ সব নিয়ে তাঁরা রীতিমতো উদ্বিগ্ন। এই সব ভাবনা থেকেই শনিবার দুপুরে তৃণমূল ভবনের সামনে জমায়েত করলেন তাঁরা। 


ওমপ্রকাশ মিশ্রের সঙ্গে এই বিষয়ে কথাও বলেন বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি-সহ বিভিন্ন জেলার কলেজের গ্রন্থাগারকর্মীরা। ওমপ্রকাশবাবু তাঁদের এ সংক্রান্ত আশ্বাস দিয়েছেন বলেই দাবি গ্রন্থাগারকর্মীদের। লাইব্রেরিয়ানরা তৃণমূল ভবনে আসেন।
তাঁদের দাবি, শিক্ষা দফতরকেও জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরকেও জানানো হয়েছে। তবে এখন কবে তাঁরা স্থায়ী হতে পারবেন, সেই দিকেই তাকিয়ে গ্রন্থাগারের কর্মীরা।


আরও পড়ুন: রেলে আত্মনির্ভরতার সূচনা বাংলা থেকেই, চিত্তরঞ্জনে তৈরি হল উচ্চ গতিবেগের তেজস ইঞ্জিন