নিজস্ব প্রতিবেদন : পরিবারের সঙ্গে আনন্দভ্রমণ মুহূর্তে বদলে গেল বিষাদে। বৃহস্পতিবার সকালে দিঘার সমুদ্রে ভাইদের সঙ্গে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল এক কলেজ ছাত্র। নিখোঁজ ছাত্রের নাম বিশাল জয়সওয়াল। বয়স ১৯ বছর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরের বাসিন্দা মহেন্দ্র জয়সওয়াল। তাঁরই ছেলে বিশাল। বুধবার বিকালে পরিবারের সবার সঙ্গে দিঘা বেড়াতে আসে বিশাল। বাবা, মা, কাকা, ভাই, বোন- দলে মোট ৭ জন ছিল। বিশালের সঙ্গেই দিঘায় আসে তার ২ ভাই শঙ্কর জয়সওয়াল ও বিজয় জয়সওয়াল। সমবয়সী সব ভাই-বোনেরা। দিঘায় পৌঁছেই আনন্দ মজায় মেতে ওঠে সবাই মিলে।


আরও পড়ুন, 'মারধর', চলন্ত ট্রেন থেকে মহিলাকে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার হুমকি বৃহন্নলাদের


বুধবার রাতেই ৩ ভাই মিলে পরিকল্পনা করে বৃহস্পতিবার সকালে ভাইয়েরা একসঙ্গে সমুদ্র স্নানে যাবে। যেমন ভাবা তেমন কাজ। এদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আর দেরি করেনি বিশাল, বিজয়, শঙ্কর। সকাল ৭টা বাজতে না বাজতেই দিঘার সৈকতে গিয়ে হাজির হয় ৩ ভাই।


ওল্ড দিঘার একনম্বর ঘাটে স্নান করতে নামে ৩ জনে। কিছুক্ষণ পরই ঢেউয়ের ধাক্কায় তলিয়ে যায় ৩ জনই। সমুদ্রে ৩ যুবককে তলিয়ে যেতে দেখে, সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েন নুলিয়ারা। উদ্ধারকাজে হাত লাগান বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরাও। তাঁদের তত্পরতায় বিজয় ও শঙ্করকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। কিন্তু বিশালের কোনও খোঁজ মেলেনি। ইছাপুর কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র বিশাল।


আরও পড়ুন, প্রেমে হাবুডুবু! বিয়ে করতে ইউক্রেন থেকে আরামবাগ ছুটে এলেন রুশ তরুণী


বিজয় ও শঙ্করকে উদ্ধারের পর তাদের দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই চিকিত্সাধীন রয়েছে ২ ভাই। অন্যদিকে, নিখোঁজ বিশালের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। দিঘায় ঘুরতে এসে ঘরের ছেলেকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ পরিবার।


আরও পড়ুন, মোবাইল-ফেসবুকে বুঁদ স্ত্রী, ডেকে আনল দম্পতির মর্মান্তিক পরিণতি


প্রসঙ্গত, নুলিয়া ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওল্ড দিঘার একনম্বর ঘাটটি মোটেই স্নানের জন্য উপযুক্ত নয়। ওই জায়গায় সমুদ্র প্রচণ্ড উত্তাল থাকে। যেকোনও সময় বিপদ ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেকারণে সতর্কবার্তা বোর্ডও লাগানো রয়েছে ওই জায়গায়।