নিজস্ব প্রতিবেদন: সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর জামিন নিয়ে চূড়ান্ত জটিলতা। ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন নিতে নারাজ সুজন চক্রবর্তী। এদিকে, মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে পেশ করার সময় শেষ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে পেশ কীভাবে সম্ভব? সে নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। এমনকি তাঁদের বিরুদ্ধে কোন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে, তাও স্পষ্ট করে জানায়নি পুলিস। লালবাজার সেন্ট্রাল লক আপে এখন ১৬৯ জন ধর্মঘটী সিপিএম কর্মী সমর্থকরা রয়েছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক পদ থেকে সরছেন ‘সিঙ্ঘম’ নিখিল!


প্রসঙ্গত, ধর্মঘটের দিন সকালে যাদবপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে। সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৩৬৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ৩৪ জন মহিলা রয়েছেন।  এই পরিসংখ্যান  দুপুর ১২টার আগে পর্যন্ত।  এরপর আরও ১২ জন বনধ সমর্থনকারীকে গ্রেফতার করে বাগুইআটি থানার পুলিশ।  ভিআইপি রোডে অবরোধ করার  সময় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।


আরও পড়ুন: প্রতিরোধ! ঝান্ডা দিয়েই পাল্টা আক্রমণে সিপিএম, এলাকা ছাড়া হল তৃণমূল


এদিন ধৃত ধর্মঘটীদের কোমরে দড়ি পরানোকে ঘিরে আলিপুর আদালত চত্বরেও উত্তেজনা ছড়ায় বেশ কিছুক্ষণের জন্য। গড়ফা থানা ও আরও একটি থানার পুলিস মোট ৩০ জন ধর্মঘটীকে গ্রেফতার করে। তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়। আলিপুর আদালতে তাঁদের নিয়ে আসা হয়। প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর সময় তাঁদের কোমরে দড়ি পরিয়ে লকআপে ঢোকানোর চেষ্টা চলে। তা দেখা মাত্রই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আলিপুর আদালতে জমা হওয়া সিপিএম কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের সঙ্গে পুলিসের বচসা বাধে। পরিস্থিতি প্রায় হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়।


আরও পড়ুন- ক্ষমতায় এলে পুলিস অফিসারকে কান ধরে ওঠবস করাবেন শতরূপ ঘোষ!


ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন আইনজীবীরাও। তাঁদের যুক্তি, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, মানবাধিকার লঙ্ঘন কেন? রাজনৈতিক নেতাদের কোমরে কোনওমতেই দড়ি পরানো যায় না।” প্রবল চাপের মুখে পড়ে শেষমেশ ধৃত সিপিএম কর্মী সমর্থকদের কোমরের দড়ি খুলে দেওয়া হয়।