নিজস্ব প্রতিবেদন: দলছুটদের দলে ফেরানোর অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে নব্য ও আদি তৃণমূল কর্মীদের হাতাহাতি। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাথা ফাটলো যুব নেতার। কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন কারণে অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে বা নির্দল হয়ে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এমন সবাইকে নিয়ে উত্তরের কেষ্ট দা-র ( কৃষ্ণ দাস) নেতৃত্বে জলপাইগুড়ি পাহারপুর এলাকার গোমস্ত পাড়ায় রবিবার সন্ধ্যায় তৃণমূল একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। লুতফর রহমান যখন সভা পরিচালনা করছিলেন। তখন তাকে মাউথপিস জমা দিয়ে বসতে বলেন কৃষ্ণ দাস। কৃষ্ণ বাবু বলেন এই অনুষ্ঠান আমি আয়োজন করেছি। তাই আমি যেভাবে বলবো অনুষ্ঠান সেই ভাবে চলবে।


আরও পড়ুন- মালবাজারে হানা ৫০টি হাতির একটি দল, চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়


এতেই অপমানিত হন যুবনেতা লুতফর রহমান। সভামঞ্চে শুরু হয় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। পরে দুই গোষ্ঠীর সদস্যরা একে অপরের বিরুদ্ধে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র এমনকি ৯ এম এম পিস্তল নিয়েও ঝাপিয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। ঘটনায় যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির মাথা ফাটে। তিনি একটি বেসরকারি নার্সিংহোম এ ভর্তি। বাকিদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ঘটনায় কৃষ্ণ দাস, প্রধান হেমব্রম সহ ৭ তৃণমূল নেতার নামে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।


ঘটনায় যুব তৃণমূল এর জেলা সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জি বলেন কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে যুবকর্মীদের ওপর হামলা। এই হিংসার রাজনীতির ফলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি অভিশেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাব। থানায় অভিযোগ হয়েছে। এতো আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে আসছে তা পুলিসকে দেখতে হবে।


আরও পড়ুন- সম্পত্তির লোভে মৃত্যুর আগেই মায়ের শ্রাদ্ধ করল সন্তানেরা


ঘটনায় আদি তৃনমূল কর্মী মহম্মদ গনিখান জানান, দিদির পুরোনোদের নিয়ে চলার নির্দেশের পর আমরা আজ আক্রান্ত। আমরা কোথায় যাবো। কৃষ্ণ দাসের দাদাগিরির বিহিত চাই। ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে কৃষ্ণ দাস জানান, যারা তৃণমূল ছেড়ে অন্য দলে গিয়েছিলো আজ জয়েনিং ছিল। এই বুথে আজ ৪৫০ জন যোগ দিলেন। ঘটনায় কোতোয়ালি থানার আই সি বিশ্বাশ্রয় সরকার জানান অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।