নিজস্ব প্রতিবেদন: রামপুরহাটে 'নারকীয় হত্যা'। বগটুই গ্রামে গিয়ে 'বিচার' চাইলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhuri)। মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর প্রশ্ন, 'এই গ্রামে আসতে এত দেরি করলেন কেন'?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রামপুরহাটে উপ-প্রধানকে কারা খুন করল? একে পর এক বাড়িতে আগুন লাগানো হল কেন? রাজ্যে ৩৫৫ ধারা ((Article 355) ) জারির দাবিতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি ((Letter to President)) লিখেছেন অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhuri । চিঠিতে অভিযোগ করেছেন, 'রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে। শুধু গত মাসেই রাজ্যে ২৬টি রাজনৈতিক খুন হয়েছে। নির্বাচনী অশান্তি ও ভোট পরবর্তী অশান্তি বহু প্রাণ কেড়েছে'।


আরও পড়ুন: Anarul Arrest In Rampurhat Arson: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার আনারুল হোসেন


গতকাল, বুধবার দিল্লি থেকে কলকাতায় পৌঁছন অধীর। এদিন সকালে যান রামপুরহাটের বগটুই (Bogtui in Rampurhat) গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ঘুরে দেখেন ঘটনাস্থল। এরপর ফের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। বলেন, 'সন্ত্রাস করে টিকে থাকতে হচ্ছে! খারাপ লাগছে, বাংলার মানুষ আপনাকে এতবার সমর্থন করেছে, দোয়া করেছে। কিন্তু আপনার মন জিততে পারেনি, বিবেক জিততে পারেনি। যদি পারত, তাহলে এই গ্রামে আসতে এত দেরি করলেন কেন'? সঙ্গে যোগ করেন, 'হেলিকপ্টারে এলেন, পিকনিক হল, খাওয়াদাওয়া হল, সরকারি টাকা থেকে দান করলেন, চলে গেলেন। গ্রামের মানুষের সঙ্গে বৈঠক করতে পারতেন। তাঁদের দুঃখ-যন্ত্রণার কথা জানতে পারতেন। নারকীয় হত্যা করা হয়েছে। বাংলায় এত অস্ত্র কীভাবে আসছে, আমরা বিচার চাই'।



এর আগে, কলকাতা থেকে বগটুই যাওয়ার পথে 'পুলিসি বাধা'র মুখে পড়েন অধীর চৌধুরী। প্রতিবাদে বোলপুরের শ্রীনিকেতন মোড়ে রাস্তার বসে বিক্ষোভও দেখান তিনি। অধীরের অভিযোগ, পুলিস-প্রশাসনকে জানিয়েই বগটুই গ্রামে যাচ্ছিলেন। তা সত্ত্বেও ঘুসকরায় প্রথম বাধার মুখে পড়েন। পুলিস-প্রশাসনের তরফে তাঁকে থানায় বসে চা খেয়ে যেতে বলা হয়। তারপর বলা হয়, রাস্তায় একটি ট্রাক খারাপ হয়ে গিয়েছে! এরপর বোলপুরের শ্রীনিকেতন মোড়ে ফের ব্যারিকেড করে রাস্তা আটকায় পুলিস।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)