ওয়েব ডেস্ক : বহুদিনের দাবি ছিল। বহু আবেদন নিবেদন করেও ফল মেলেনি। মুখ্যমন্ত্রী বাঁকুড়া সফরে এলে সমস্যার কথা জানানো হয় তাঁকে। দিনকয়েকের মধ্যেই সেচ দপ্তরের কর্মীরা এসেছেন। শুরু হয়েছে বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়ার কাছে দ্বারকেশ্বর নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ধু ধু বালি। আর সেই বালি নদীর বুক চিরে রাত জাগানি গানের মত জলের স্রোত। পায়ের চেটোও ডোবেনা।কোথাও বা হাঁটু জল। তবে সারা বছর এমনটা নয়। বর্ষায় এ নদীই অচেনা। থইথই জল। ঘোলা জলে ভয় লাগে। ভয় লাগার মতই দ্বারকেশ্বর।  দ্বারকেশ্বরের যে পারে কেঞ্জাকুড়া ঠিক অন্য পারে বেলিয়া, কালপাথর,কুমিদ্যা, গোসাইডিহি কত গ্রাম, ভরসা নদীর এপারের কেঞ্জাকুড়া। সারা বছর হেঁটে,সাইকেলে নদী পার হওয়া গেলেও বর্ষায় কিন্তু উপায় নেই। কেঞ্জাকুড়ার ওপারেই সব- হাটবাজার, দোকানপাট,স্কুল, হাসপাতাল- কিন্তু যাওয়ার উপায় কই!  বাধ্য হয়ে চলে ভেলা। সেই ভেলা ডুবে দুর্ঘটনা হয় প্রায়শই।


জেলা সফরে এসে দ্বারকেশ্বর নদী পারের এই সমস্যা শুনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আশ্বাস দিয়েছিলেন সেতু হবে। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাসের পরই সেতু নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু করেছে সেচ দপ্তর। ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এতে সেতুর প্রস্থ হবে মাত্র পাঁচ মিটার। মানে চার চাকার গাড়ি চালানো দুষ্কর। সেতু হলে বেলিয়া, কালপাথর,কুমিদ্যা, গোসাইডিহির চেহারাই বদলে যাবে। নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


আরও পড়ুন, অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের ৩ দিনের পুলিস হেফাজত