নিজস্ব প্রতিবেদন : ফের প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল। শুভেন্দুর গড়ে কাঁথি-২ নম্বর ব্লকে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে গোষ্ঠীবিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা ছড়াল। শুক্রবার সন্ধ্যায় কাঁথি-২ নম্বর ব্লকের বসন্তিয়া হাইস্কুল মাঠে  কাঁথি-২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে একটি বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয় । সেই সভা মঞ্চে তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্বের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তরুণ কুমার মাইতিও। সভাতেই ভাষণ দিতে গিয়ে কাঁথি-১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রদীপ গায়েন থেকে আরম্ভ করে কাঁথি পুরসভার পুর প্রশাসক হরিসাধন দাস অধিকারী সহ অনেকে দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অভিযোগ, যারা শুভেন্দুর ঘরে থেকে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ ছিলেন, মাঠে না নেমে বসে বসে নির্বাচন দেখছিলেন, তাঁরা-ই এখন দলের মাথা হয়ে ছড়ি ঘোরাতে চাইছেন। আর তাঁদেরকে তোল্লা-ই দেওয়া হচ্ছে। দলের মধ্যে সমান্তরাল গোষ্ঠী তৈরি করা হচ্ছে। এসব অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। প্রদীপ গায়েন জেলা সভাপতি তরুণ কুমার মাইতেকে উদ্দেশ করে বলেন, "আগামী কয়েক মাস বাদে কাঁথি পুরসভার নির্বাচন। আগামী এক বছরের মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। পায়ে ধরে অনুরোধ করছি দলটাকে বাঁচান। বিরাট চক্রান্ত চলছে দলের মধ্যে। ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানান। ১৯৯৮ সাল থেকে কলেজ রাজনীতির মধ্য দিয়ে দল করছি। আর যারা ৫ বছর দল করেনি, তাঁদের নেতৃত্বে আমরা চলতে পারব না। যাঁরা প্রভাব খাটিয়ে এখনও শুভেন্দু অধিকারী কম্পানিদের সঙ্গে মিল রেখেছে, তাঁদের নেতা হিসেবে মানব না।" 


আরও পড়ুন, মাঝ নভেম্বরেই খুলছে স্কুল-কলেজ, নবম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত অনুমতি নবান্নের


প্রদীপ গায়েন হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি কাঁথি পুরসভার পুর প্রশাসক হরিসাধন দাস অধিকারীও বলেন, "আমরাও পুর প্রশাসক হিসাবে কাজ করতে পারছি না। এত গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। সব গোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করতে না পারলে মূল লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারা যাবে না।" বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চে এহেন ক্ষোভপ্রকাশের পরই এ নিয়ে তুমুল হই হট্টগোল শুরু হয়েছে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে। স্বাভাবিকভাবেই এঘটনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ভিতর অস্বস্তি বাড়িয়েছে। বিড়ম্বনায় পড়েছে শাসকদল।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)