নিজস্ব প্রতিবেদন: দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তের লেখা চিঠি ঘিরে অস্বস্তিতে বিজেপি। দলের সভাপতি তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে লেখা ওই চিঠিতে 'গোর্খাল্যান্ড' শব্দটির উল্লেখ রয়েছে। চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করে অমিত শাহ যে পালটা চিঠি দিয়েছেন তা সোশ্যাল সাইটে আপলোড করেছেন রাজু বিস্ত। তাতেও রয়েছে 'গোর্খাল্যান্ড' শব্দের উল্লেখ। এতেই চরম অস্বস্তিতে বিজেপি। বর্তমানে চিন্তন বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য দুর্গাপুরে রয়েছেন বিজেপি নেতারা। এই নিয়ে সেখানে মুখ খুলতে চাইছেন না কেউই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ১২ জুলাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ওই চিঠি দেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত। তাঁর দাবি, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য দিল্লি পুলিসের যে বিশেষ বাহিনী গঠন করা হয়েছে তাতে যেন জায়গা দেওয়া হয় 'গোর্খাল্যান্ড' ও লাদাখের যুবকদের। চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করে গত ২৩ জুলাই পালটা চিঠি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তাতেও রয়েছে 'গোর্খাল্যান্ড' শব্দটির উল্লেখ। এতেই দানা বাঁধে বিতর্ক। 



কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের পর একই ধাঁচে দার্জিলিং পাহাড়কে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা যায় কি না তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই রাজু বিস্তের এই পোস্টে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীদের প্রশ্ন, তবে কি 'গোর্খাল্যান্ড' শব্দটিকে স্বীকৃতি দিচ্ছে বিজেপি? প্রচ্ছন্নে পশ্চিমবঙ্গ ভাগের পরিকল্পনা চালাচ্ছে তারা?


এই নিয়ে শনিবার কোনও বিজেপি নেতার কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। রাজু বিস্তের সঙ্গে সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলেও তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে অস্বীকার করেন। রবিবার বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক আরও বাড়লে প্রতিক্রিয়া দেন বিজেপির মুখপাত্র সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, দার্জিলিং পাহাড় নিয়ে বিজেপি পুরনো অবস্থানেই অনড়। রাজ্য ভাগের সমর্থক নয় বিজেপি। 


‘জওহরলাল নেহরু একজন ক্রিমিন্যাল, তাঁর জন্যই আজ পাকিস্তানের দখলে কাশ্মীরের একাংশ’


পরে রাজু বিস্তও জানান, এই নিয়ে দলের অবস্থান ও তাঁর অবস্থান অভিন্ন। আলোচনার টেবিলে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।