নিজস্ব প্রতিবেদন: চিকিত্সক-স্বাস্থ্যকর্মীদের অবিরাম প্রচেষ্টা। সেই সঙ্গে অদম্য মনের জোর। আর তার জেরেই করোনাকে হার মানালেন ৮৪ বছরের প্রৌঢ়। ক্যালকাটা রোয়িং ক্লাবের সভাপতি তপন মিত্রের লড়াইয়ের এই কাহিনী যে এক অদ্ভুত ইতিবাচক মনোভাবে মানুষের মন ভরিয়ে দেয়, তা বলাই বাহুল্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে, প্রথমটায় হয় তো এতটা মানসিক জোর পাননি তপন মিত্র। করোনাভাইরাস পজিটিভ রেজাল্ট আসার পর প্রথমে বেশ ভয়ই পেয়েছিলেন তপনবাবু। "আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম! কী ভয়ঙ্কর রোগ হল," হাসপাতালে বসেই বলছিলেন প্রৌঢ়।


তবে করোনার বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে জোর পেলেন কী করে? অল্প হাসলেন তপনবাবু। বললেন, "ওরা (চিকিত্সক-নার্স) দেখলাম আমার হয়ে যুদ্ধ করছে"। তারপরেই হয় তো ধীরে ধীরে মনে জোর আসে অসুস্থ তপন মিত্রের। নার্সদের অক্লান্ত সেবার কথা মনে করতে গিয়ে বললেন, "আমি মাঝরাতে খেতে পারছিলাম না, দেখলাম নার্সরা কীভাবে আমাকে খাইয়ে দিল"। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাই নার্স ও চিকিত্সকদের অবদানের কথা বলতে ভুললেন না তিনি। 


জীবনের অন্যতম বড় যুদ্ধে জয়ী হয়ে এখন কিছুটা হালকা মেজাজে তপন মিত্র। করোনা পরীক্ষার রেজাল্ট নেগেটিভ আসার পর থেকেই কিছুটা স্বস্তিতে পরিজনরা। তবে, আপাতত কিছু দিন হোম কোয়ারেন্টিইনে থাকবেন। সাধারণ মানুষকে নিজের অভিজ্ঞতার বিষয়ে কী বলবেন? বেডে বসে তপনবাবু বললেন, "এভাবে ফিরতে পারব ভাবিনি"। হালকা হাসি নিয়ে বললেন, "এই বয়সেও করোনাকে জয় করা যায়।"