নিজস্ব প্রতিবেদন : বাবা করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এদিকে তাঁর সুগারও ছিল। ইনসুলিন দেওয়ার প্রয়োজন পড়ত। সেই ইনসুলিন দেওয়ার জন্য প্রতিদিন ছেলেকেই হাসপাতালে যেতে হত। ছেলেই বাবাকে ইনসুলিন দিত। এবার সেই ছেলের শরীরেও ধরা পড়ল করোনার সংক্রমণ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনায় আক্রান্ত হয়ে উত্তরবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে এক রেলকর্মীর। এবার তাঁর ছেলের শরীরে মিলল নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। সোমবার তাঁর লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। দেখা যায়, রিপোর্ট পজেটিভ। তাঁর শরীরেও নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে। 


তবে তাঁর করোনায় সংক্রামিত হওয়ার পিছনে রয়েছে অন্য গল্প। বলা যেতে পারে, চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অসহযোগিতাতেই তিনি করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। বিষয়টি একটু খোলসা করা যাক। জানা গিয়েছে, তাঁর বাবা যখন ভর্তি ছিলেন, তখন সুগারের জন্য তাঁকে ইনসুলিন দিতে হত। 


কিন্তু কোনও চিকিৎসক, নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মী এই ইনসুলিন দিতেন না বলে অভিযোগ। অভিযোগ, শরীরে COVID-19-এর সংক্রমণ রয়েছে বলে ইনসুলিন দিতে অস্বীকার করেন সবাই। সেই কারণেই ওই প্রৌঢ় যতদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, ছেলে-ই প্রতিদিন বাবাকে ইনসুলিন দেওয়ার জন্য হাসপাতালে যেত। 


এক আত্মীয় জানিয়েছেন, "প্রতিদিন বাইকে করে ও হাসপাতালে যেত। বাবাকে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন ইনজেক্ট করত।" সেখান থেকেই ছেলের শরীরে সংক্রমণ হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। অন্যদিকে, কালিম্পংয়ে মৃত মহিলার দেখভালে নিযুক্ত নার্সের রিপোর্টও পজেটিভ এসেছে বলে জানা গিয়েছে।


আরও পড়ুন, লকডাউন : পর্যটক নেই, আয় নেই, খাবার নেই, চরম দুর্দশায় ৫-৫টি ঘোড়ার মৃত্যু ময়দানে