নিজস্ব প্রতিবেদন: গোটা দেশেই দ্রুত বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। একথা মাথায় রেখেই রাজ্যে গোটা এপ্রিল মাস পর্যন্ত লকডাউনের সুপারিশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরকম এক অবস্থায় গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল ১৭। সবেমিলিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ১৩২। তবে আশার কথা হল এখনও পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৫ জন এবং গত ৪ দিন ধরে রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা সাতেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-করোনা 'কেড়েছে' বাবা-মাকে! হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে একা একাই খেলে যাচ্ছে সদ্যোজাত


বুধবার মুখ্যসচিব আরও বলেন, এখনও পর্যন্ত ৪১৫৭ জনকে সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ৭৭২৯ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল ৫৬,৭৮৩ জনকে। তার মধ্যে এখনও বাড়িতেই রয়েছেন ৩৭,৬৯১ জন। বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।


মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, লকডাউনের একটা পার্ট হয়ে গেছে। আর একটা পার্ট ৩ মে পর্যন্ত চলবে। উচ্চমাধ‍্যমিকের ৩ টে পরীক্ষা বাকি আছে। ওটা জুন মাসে করা হবে। ক্লাস ইলেভেন এর স্টুডেন্টদের পাস করিয়ে দেওয়া হবে। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে বা কারিগরি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে সব সেমেস্টার একটা করে এগিয়ে যাবে। শুধু ফাইনাল সেমেস্টারটা হবে। আইসিডিএস ১৫ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। কিন্তু মিড ডে মিল যেভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেটা চলতে থাকবে।


আরও পড়ুন-১৪ রকমের সবজি সঙ্গে ২টো ডিম, অসহায় ২৫০ পরিবারের মুখে হাসি ফোটাল 'বিনামূল্যে বাজার'


মুখ্যমন্ত্রী আরও বলন, রাজ‍্য সরকারের ডেপুটি সেক্রেটারি ও তদুপরি আধিকারিকরা অল্টারনেটিভ ডে তে কাজ করবেন ২০ তারিখ থেকে। অ‍্যাডিশনাল কিছু জিনিষ এর পারমিশন দিচ্ছি। কিছু কিছু বাজারে এক জায়গায় অনেক মানুষ জড়ো হয়ে যাচ্ছেন। মাস্ক পরতেই হবে। না হলে পুলিশ বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। প্রয়োজনে অ‍্যাকশনও নেওয়া হতে পারে। টি প্রসেস ও রোড কনস্ট্রাকশন সহ কিছু ক্ষেত্রে ১০০ দিনের লেবার দিয়ে কাজ করানো হবে। ওয়ারহাউস সার্ভিস (মূলতঃ অত‍্যাবশ‍্যকীয় ক্ষেত্রে) পারমিশন দেওয়া হয়েছে।