নিজস্ব প্রতিবেদন: গোটা দেশ জুড়েই অক্সিজেনের আকাল। বাংলার তার বাইরে নয়। রাজ্যের দৈনিক যে অক্সিজেনের প্রয়োজন তা কেন্দ্র দিচ্ছে না বলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরকম এক পরিস্থিতিতে হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে করোনা রোগীদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় এলাকায় অক্সিজেন বুথ গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ঝমঝমিয়ে মুষলধারে বৃষ্টি কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়, জলমগ্ন রাস্তাঘাট


নবান্ন সূত্রে খবর, এলাকায় এলাকায় অক্সিজেন বুথ গড়ে তুলতে পুজো কমিটিগুলিকে ও ক্লাবগুলিকে তাদের ক্লাব ঘরে বা কোনও হল ঘরে অক্সিজেন বুথ গড়ে তোলার অনুরোধ করা হচ্ছে। ওইসব বুথগুলি এলাকার মানুষের জরুরি প্রয়োজন মেটাবে।


এদিকে, করোনা সংক্রমণ যে ভাবে বাড়ছে তাতে সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে দিন দিন বেডের চাহিদা বেড়েই চলেছে। কিন্তু সেখানে চিকিত্সক পাওয়া যাবে কোথা থেকে? রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা হল পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্টার্নদের পাশাপাশি ডাক্তারি পড়ুয়া ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রদেরও কাজে লাগানো হবে।


আরও পড়ুন-Cowin App: বাংলায় ২ দফা টিকা পেয়েছেন মাত্র ৩.৩ শতাংশ মানুষ


অক্সিজেনের(Oxygen Crisis) পাশাপাশি রাজ্যে ভ্যাকসিনের চাহিদা তুঙ্গে। গোটা দেশেই অবশ্য একই অবস্থা। কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় রোজই বহু মানুষ রাত থেকে ভ্যাকসিনের জন্য লাইন দিয়েও তা পাচ্ছেন না। এদের বেশিরভাগেই প্রথম ডোজ নিয়ে নিয়েছেন। সমস্যা মেটাতে এগিয়ে এল সরকার। সোমবারই মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, ইতিমধ্যেই যারা করোনার প্রথম ডোজ নিয়েছেন তারা দ্বিতীয় ডোজ পাবেন। যারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রথমবার টিকা(Covid Vaccine) নিয়েছেন তাদের জন্য একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করা হচ্ছে। ওই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী তাঁরা কবে কোথায় দ্বিতীয় ডোজ পাবেন তা জানিয়ে দেওয়া হবে। এনিয়ে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।


অন্যদিকে, রাজ্যের হাসপাতাল গুলিতে অক্সিজেনের চাহিদা দূর করতে বসানো হচ্ছে পিএসএ প্ল্যান্ট। রাখা হচ্ছে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তাবে তা শুরু হবে কেন্দ্র ওইসব ভ্যাকসিন পাঠালেই।