নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রসূতি করোনা আক্রান্ত। জন্ম দিলেন সুস্থ সদ্যোজাতের। এই ঘটনায় আশার আলো দেখছে ডোমজুড় সঞ্জীবনী হাসপাতাল। নভেল করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ার এক অনন্য উদাহরণ তৈরি করলেন হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স স্বাস্থ্যকর্মীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-করোনাভাইরাসের বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে কি লাভ?’ টুইট সমালোচনায় বিরক্ত ট্রাম্পের


বর্তমানে সুস্থ আছেন ওই মা। কোনও রকম সংক্রমণ হয়নি ওই সদ্যোজাতের। আর চিকিত্সকরা মা এবং শিশুকে পাশাপাশি রেখে সেখান থেকে যেন যুদ্ধজয়ের ইঙ্গিত দিলেন ভি দেখিয়ে। পিপিই অর্থাৎ পার্সোন্যাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্টর ভিতর থেকেই যেন বেরিয়ে এল যুদ্ধজয়ের খুশি।প্রসঙ্গত, রবিবারই চিত্তরঞ্জন সেবাসদন হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া এক প্রসূতি মৃত সন্তান প্রসব করেন।


হাসপাতালের অধিকর্তা শুভাশীষ মিত্র বলেন, "আমাদের হাসপাতালটিকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশেষভাবে সেই ওয়ার্ডকে তৈরি করেছি আমরা। পরপর চারটি স্তর পার হয়ে তবেই নভেল করোনা আক্রান্ত কিংবা সন্দেহজনক যারা ভর্তি আছেন, তাদের কাছে পৌছানো যায়। এখানে ওই প্রসূতি ১৩ এপ্রিল অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। নোভেল করোনা সংক্রমণ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তারপর তার চিকিৎসা চলছিল আমাদের এখানেই।’


আরও পড়ুন-সোশ্যাল মিডিয়ায় আকুল আবেদন, লকডাউনে রানাঘাট থেকে ওষুধ এনে দিল বনগাঁর ২ যুবক


শুভাশীষবাবু আরও বলেন, গত ১৮ তারিখে ওই প্রসূতির প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। ১৯ তারিখে আমাদের এখানকার চিকিৎসক-নার্স সিদ্ধান্ত নেন বিশেষ পদ্ধতিতে সংক্রমণ রুখতে যাবতীয় ব্যবস্থা করে তার অস্ত্রোপচার করানো হবে। অস্ত্রোপচার করতে হয়নি অবশ্য। নরম্যাল ডেলিভারি হয়। এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন ওই প্রসূতি। শিশুটির ওজন ২.৭ কেজি। মা-কে পিপিই, মাস্ক পরানো হয়েছে। স্যানিটাইজার ইউজ করানো হচ্ছে। সবরকম নিরাপত্তার মধ্যে রেখে দেওয়া হয়েছে। আর মায়ের কাছেই একটি বিশেষ ট্রে-র মধ্যে রয়েছে তার সন্তান। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা হয়েছে যাতে সংক্রমণ সন্তানের মধ্যে না যায়। শুভাশীষবাবুর কথায়, "এ যেন যুদ্ধ জয়। তাকিয়ে দেখুন ছবিগুলো পিপিই-র আড়াল থেকে খুশি, বিশ্বাস আর লড়াই আত্মবিশ্বাসের এমন ছবি কিন্তু বিরল যা আমাদের এখানকার চিকিৎসক-নার্সরা দেখাচ্ছেন। লড়াইটা এভাবেই শুরু হোক না সব জায়গাতেই।"