করোনায় কোনও ঝুঁকি নয়, বন্ধ মতুয়া মেলা থেকে মদনমোদনের ভোগ, তারাপীঠ থেকে তারকেশ্বর
রাজ্যের আরও বেশকিছু মন্দিরও বন্ধ রাখা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কোনওরকম ঝুঁকি নেওয়া নয়। করোনার সংক্রমণ রুখতে সবকম সতর্কতা মেনে চলতে হবে। সাবধানতার সঙ্গে কোনও আপোস নয়। এই আপ্তবাক্য মাথায় রেখে মতুয়া মেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ৩১ মার্চ পর্যন্ত তারাপীঠ মন্দিরও বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরেও ছবিটা একই। অঞ্জলি ও ভোগ নিবেদনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কোচবিহার প্রশাসন।
একনজরে রাজ্যের কোথায় কোন মন্দির ও মেলা বন্ধ হল
মতুয়া মেলা-
মতুয়া মেলার বন্ধের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল একদল গ্রামবাসী। তাঁদের আবেদনে শিলমোহর দিলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। ২২ মার্চ মেলা হওয়ার কথা ছিল। মেলা যাতে কোনওভাবে না হয়, তা দেখার জন্য পুলিসকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। গতবছর মেলায় প্রায় ২২ লাখ লোক হয়েছিল।
তারাপীঠ মন্দির-
৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ তারাপীঠ মন্দির। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে মন্দির কমিটি। এই কদিন পরিস্থিতি কেমন থাকে, তার উপর ভিত্তি করেই মন্দির কবে খোলা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে কতৃপক্ষ জানিয়েছে।
হংসেশ্বরী মন্দির-
সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল বাঁশবেড়িয়ার হংসেশ্বরী মন্দির চত্বর। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশ মেনে মন্দির বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মদনমোহন মন্দির-
করোনার আতঙ্কে মদনমোহন মন্দিরে অঞ্জলি ও ভোগ নিবেদনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল কোচবিহার জেলা প্রশাসন। মন্দিরের পুরোহিতদের দেখা যায় মাস্ক পরে পুজো দিতে। ভক্ত সমাগমের মাধ্যমে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়, তাই এই সিদ্ধান্ত। পুজো দেখতে আসা দর্শনার্থীদের হাত স্যানিটাইজ করে মন্দিরে ভিতর ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
বর্গভীমা মন্দির-
৩১ মার্চ পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে পুষ্পাঞ্জলি ও ভোগ বিতরণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। বর্গভীমা মন্দির সতীর ৫১ পীঠের একটি অন্যতম পীঠ। প্রতিদিন কয়েক হাজার ভক্তের সমাগম হয় এখানে। করোনা আতঙ্কে জেরে এই পরিস্থিতিতে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ মন্দির কমিটি।
তারকেশ্বর মন্দির-
তারকেশ্বর মন্দিরেরও ৪টে গেট বন্ধ। প্রতিটি গেটে রয়েছে পুলিশ পিকেট। অন্যদিনের তুলনায় পুণ্যার্থী কম। সকাল থেকে চলছে মন্দিরের ভিতর সহ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় জীবাণু মুক্ত করার কাজ। আরও পড়ুন, কেরল থেকে ফিরে 'অসুস্থ' শরীরেই ঘুরছেন জেলাশাসক, খালি চোখে দেখেই CMOH-র দাবি 'করোনা নেই'!