ট্রলি ব্যাগ থেকে চুঁইয়ে বেরোচ্ছে রক্ত, নরেন্দ্রপুরে বাগানবাড়িতে উদ্ধার দম্পতির টুকরো টুকরো দেহ
মঙ্গলবার সকালে তিউড়িয়া এলাকার একটি বাগান বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ট্রলি ভর্তি দম্পতির টুকরো টুকরো দেহ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সারা ঘরে চাপ চাপ রক্ত। বিছানা লণ্ডভণ্ড। বাথরুমের ভিতর পড়ে রয়েছে দুটো ট্রলি। সেখান থেকেও চুঁইয়ে বেরোচ্ছে রক্ত। ট্রলি খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিসের। দুটি ট্রলি ভর্তি টুকরো টুকরো করে কাটা দম্পতির দেহাংশ। ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী থাকলেন নরেন্দ্রপুর থানার তিউড়িয়া এলাকার বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার সকালে তিউড়িয়া এলাকার একটি বাগান বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ট্রলি ভর্তি দম্পতির টুকরো টুকরো দেহ। জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম প্রদীপ বিশ্বাস ও আলপনা বিশ্বাস। গত ২০ বছর ধরে তিউড়িয়া এলাকার ওই বাগানবাড়িতে থাকতেন তাঁরা। দুজনেই বাগানবাড়ির দেখভাল করতেন। রবিবার রাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা হয় তাঁদের। সোমবার সকাল থেকে তাঁদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না বলে জানান প্রদীপের ভাই জয় বিশ্বাস। মঙ্গলবার সকালে তিনি নরেন্দ্রপুরের ওই বাড়িতে দাদার খোঁজে যান তিনি।
তাঁর দাবি, দরজা খোলা ছিল। ঘরের ভিতর ঢুকে তিনি দেখেন, মাটিতে রক্ত পড়ে রয়েছে। এরপর বাথরুমে গিয়ে তিনি ট্রলিদুটি দেখতে পান। বিপদ আশঙ্কা করেই তিনি প্রথমে সেখানকার অঞ্চল প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে তাঁর সঙ্গেই নরেন্দ্রপুর থানায় যান। নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস গিয়ে দেহ দুটি উদ্ধার করে। পুলিস একপ্রকার নিশ্চিত, ওই দম্পতিকে খুন করা হয়েছে। তবে কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
'জোলাপ আবশ্যক' মহুয়া-কেশরীনাথকে বিঁধে পরামর্শ কমলেশ্বরের
পুলিস জানিয়েছে, অপরাধী ওই দম্পতির পূর্ব পরিচিত এবং খুন সোমবার রাতেই হয়েছে। কারণ প্রদীপের ভাই জয়ের বয়ান অনুযায়ী, ঘরের দরজা বন্ধ ছিল না। দরজা জোর করে খোলার কোনও নমুনাও পায়নি পুলিস। সেক্ষেত্রে অপরাধীকে আগে থেকেই চিনতেন ওই দম্পতি, তাই তাকে দেখে দরজা খুলে দিয়েছিলেন। এছাড়াও ট্রলি থেকে চুঁইয়ে পড়া রক্ত দেখেও, পুলিস নিশ্চিত খুন বারো ঘণ্টার মধ্যেই হয়েছে।
আপাতত দম্পতির আত্মীয় ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছে পুলিস। ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে দেখছে ফরেনসিক দল। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে চার-পাঁচজন ওই দম্পতির সঙ্গে দেখা করতে বাগানবাড়িতে যান। সেখানে তাঁরা গল্পগুজবও করেন। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। এলাকায় কোনও সিসিটিভি না থাকায় কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুলিসকে। বাড়ির মালিকের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।