'জোলাপ আবশ্যক' মহুয়া-কেশরীনাথকে বিঁধে পরামর্শ কমলেশ্বরের
মহুয়া ও কেশরীনাথকে নিশানা করে জোলাপ শীর্ষক ফেসবুকে পোস্ট কমলেশ্বরের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফেসবুকে বিজেপি-তৃণমূল দুটি দলকেই বাক্যবাণে বিদ্ধ করলেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। দক্ষিণপন্থী রাজনীতির 'মার্কেটিং' থেকে মুক্তি পেতে জোলাপ আবশ্যক বলেও কটাক্ষ করছেন পরিচালক।
জোলাপ শীর্ষক ফেসবুকে পোস্টে কমলেশ্বর লিখেছেন,'দিন কয়েক আগে রাজ্য থেকে লোকসভায় নির্বাচিত মাননীয়া মহিলা সাংসদ সুললিত ইংরেজিতে কেন্দ্রের শাসকদলকে আক্রমণ করেছিলেন। সঠিক ছিল তাঁর তোলা প্রশ্নগুলি। দুজনেরই সমস্যা হলো - বোধহয় এনাদের চোখের সামনে কোন আয়না নেই। কারণ, দুজনেই তাঁদের নিজেদের পছন্দের রাজনৈতিক দল-দলের নীতি প্রকরণ, ভাবাদর্শ ও কার্যকলাপ নিয়ে নিশ্চুপ। তাঁদের নিজেদের ভুল ত্রুটি, অন্যায় বা অসহিষ্ণু অবস্থান নিয়ে কোনো আত্মানুসন্ধান নেই'।
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও বিদায়ী রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে নিশানা করে কমলেশ্বর বিঁধেছেন দক্ষিণপন্থী রাজনীতিকে। পরিচালকের কটাক্ষ, দক্ষিণপন্থী সংস্কৃতিতে এহেন পচা চোঁয়া ঢেঁকুর তোলার নাম 'মার্কেটিং'। জোলাপ আবশ্যক।
দিন কয়েক আগে লোকসভার অধিবেশনে ফ্যাসিবাদ ও অসহিষ্ণুতা নিয়ে মোদী সরকারকে বিধেঁছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় মহুয়ার ওই ভাষণ। এরপর বিদায়বেলায় কেশরীনাথ ত্রিপাঠী সরাসরি তোপ দাগেন রাজ্যের শাসক দলকে। বলেন, 'তৃণমূলের তোষণ নীতির জেরেই রাজ্যে মাথাচাড়া দিয়েছে সাম্প্রদায়িকতা'।
চাঁদের পাহাড়, ক্ষত, ককপিট, অ্যামাজন অভিযানের মতো ছবির পরিচালনা করেছেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। পুজোয় মুক্তি পাচ্ছে তাঁর ছবি 'পাসওয়ার্ড'। ছবিতে রয়েছেন দেব, রুক্মিনী ও পরমব্রত।
আরও পড়ুন-'কাটমানি' রোগের শুরু বাম আমলে, বলে আলিমুদ্দিনের চক্ষুশূল হলেন কান্তি