নিজস্ব প্রতিবেদন : একই ঘর থেকে উদ্ধার হল স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের ইন্দ্রলোকে। স্বামী-স্ত্রী একইসঙ্গে 'আত্মঘাতী' হওয়া ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


পুলিস সূত্রে খবর, স্বামী বিপ্লব চক্রবর্তী (৫০)কে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে স্ত্রী শিপ্রা  চক্রবর্তী (৪০)কে ঘরের জানালার সঙ্গে গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বাড়িমালিক সুব্রত দাস জানিয়েছেন, বছরখানেক আগে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন বিপ্লব চক্রবর্তী। এলাকায় সবাই তাঁদেরকে ভালো পরিবার বলেই জানত। তবে মাঝেমধ্যে সাংসারিক অশান্তি হত। যার বেশিরভাগই টাকাপয়সা সংক্রান্ত ছিল।


আরও পড়ুন, ডাক্তার দেখানোর নামে ডেকে কাকিমাকে নিয়ে পালিয়ে যায় ভাইপো! উদ্ধার ৩ মাস পর


কিন্তু, তার পরিণতি যে এমনটা হতে পারে, তা মোটেই আন্দাজ করা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, আর্থিক সংকট নিয়ে বচসার জেরেই হয়তো স্ত্রীকে খুন করে তারপর আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী। স্ত্রী শিপ্রাদেবীকে শ্বাসরোধ করে খুনের পরই আত্মঘাতী হন বিপ্লববাবু। তবে টের পাননি কেউ-ই। বাড়িমালিক থেকে মেয়ে কেউ-ই কোনও শব্দ পাননি।


আরও পড়ুন, মিলল হাতের ও পায়ের ছাপ, বেহালায় বৃদ্ধা খুনে রংমিস্ত্রির পর এবার গ্রেফতার কাঠমিস্ত্রি


আজ সকাল ১১টা নাগাদ ব্যাঙ্কে যাওয়ার সময় ঘরের জানলা-দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হয় বাড়িমালিক সুব্রত দাসের। তারপরই উদ্ধার হয় দেহ দুটি। দম্পতির ছোট মেয়েই প্রথম বাবা, মা-কে ওই অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ঘোলা থানার পুলিস। পুলিস এসে দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।