নিজস্ব প্রতিবেদন- পুলিসি হেফাজতে মৃত যুবক অনুপ কুমার রায়ের পুনরায় ময়না তদন্তের প্রস্তুতি শুরু রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের পুলিস মর্গে।  মৃতের  মায়ের আবেদনের ভিত্তিতে ইটাহার থানার তদন্তকারী পুলিস অফিসার আদালতের দ্বারস্থ হন। রায়গঞ্জ সিজিএম আদেশ দেন, মেডিকেল বোর্ড গঠন করে পুনরায় অনুপ কুমার রায়ের দেহ ময়না তদন্ত করার। আদালত আরও নির্দেশ দেয়, প্রথম  ময়না তদন্ত যে চিকিত্সকের তত্তাবধানে হয়েছিল সেই চিকিত্সক দ্বিতীয় ময়না তদন্তের সময় থাকতে পারবেন না। পাশাপাশি মৃত অনুপ কুমার রায়ের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে রায়গঞ্জ থানার পাঁচজন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে অপহরণ ও খুনের  মামলা শুরু করেছে ইটাহার থানার পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইটাহার থানার নন্দনগ্রামের বাসিন্দা অনুপ। তাঁর মা অভিযোগ করেছিলেন, ছেলে বিজেপি কর্মী বলেই তাঁকে পুলিস তুলে নিয়ে গিয়েছিল। তার পর লক-আপে তাঁর ছেলের পুলিসি নির্যাতনে মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। পুলিসের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, ওই যুবকের দুর সম্পর্কের এক ভাইকে দিয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করিয়ে বুধবার রাতেই ময়নাতদন্ত করায় পুলিস৷ এর পর মৃতদেহও রাতেই সৎকারের চেষ্টা করে পুলিস। কিন্তু অনুপের বাড়ির লোক ও পড়শিরা জেনে ফেলায় তড়িঘড়ি দেহ সত্কার করতে পারেনি পুলিস। এর পরই রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, আগে থেকেই অসুস্থ ছিল অনুপ। একটি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাঁকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিস। তবে অনুপের মা গীতাদেবী দাবি করেছেন, তাঁর ছেলে একেবারে সুস্থ-স্বাভাবিক ছিল। 


এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ''আমি আপনাদের সামনে দাবি করেছিলাম, অনুপ রায়কে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে।শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তাঁর। তার পর গুলি করে মারা হয়েছে। এবং পুলিসই মেরেছে। এটা আমরা বারবার বলেছি এবং রাতারাতি পোস্ট মর্টেম করে মিথ্যা রিপোর্ট বানানো হয়েছে। এসবের বিরোধিতা করেছি। আন্দোলন করেছি। এটা যদি হয়ে থাকে সত্যি সত্যি আমরা তার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই। এসব ব্যাপারে যে পুলিশ খুন করবে সেই আবার বিচার করবে, এমন আশা করি না। নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। পুলিসের থেকে এমন হিংসাত্মক ব্যবহার আশা করি না। কমপক্ষে পুলিশ প্রশাসন পরিবর্তন হবে আশা করছি। দোষীরা শাস্তি পাক এটাই চাই।''