নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আতঙ্কে গ্রাসে বাংলা। ঝড়ের গতিতে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। মৃত্যুর হারও উর্ধ্বমুখী। কিন্তু ভ্যাকসিন কোথায়? জেলায় জেলায় দিনভর চরম হয়রানির শিকার হতে হল সাধারণ মানুষকে। জলপাইগুড়িতে আবার নিয়ম ভেঙে রাতের অন্ধকারে পরিচিতদেরই ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগও উঠল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জলপাইগুড়ি শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কোরানিপাড়া এলাকা। এখানকার একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রাতেও কর্মীরা টিকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ। কারা পেলেন ভ্যাকসিন? স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নিয়মের তোয়াক্কা না করে স্রেফ পরিচিতদের টিকা দিয়েছেন ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা। ঘটনার প্রতিবাদে ঘণ্টা চারেক ধরে তুমুল বিক্ষোভ চলে এলাকায়। স্বাস্থ্যকর্মীদেরই শুধু নয়, যাঁরা টিকা নিয়ে এসেছিলেন, তাঁদেরও আটকে রাখা হয়।  শেষপর্যন্ত পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


আরও পড়ুন: সেফ হোমের খাবার খারাপ; জলে শেওলা, জাতীয় সড়কে যান চলাচল রুখে দিলেন করোনা রোগীরা


একই ছবি বাঁকুড়ায়। সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন বহু মানুষ। অথচ টিকা পাননি কেউই! তাঁদের অভিযোগ, অনেকে লাইন না দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে অন্তর হাসপাতালে ঢুকে ভ্যাকসিন নিয়েছেন! শেষপর্যন্ত একসময়ে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙল। শুরু হল বিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে হাসপাতালে যেতে হল পুলিসকে। বিএমওএইচ এর দাবি, পর্যায়ের টিকাকরণের কাজ চলছে। সমস্ত নিয়ম মেনে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, তাই সময় লাগছে!


রাতভর লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু ভ্যাকসিন পাননি। ভোর হতে না হতেই ফের লম্বা লাইন! করোনা বিধি মানার কোনও বালাই নেই। এমনই ছবি ধরা পড়ল হুগলির মাহেশের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। বিশৃঙ্খলতা ঠেকাতে পুরসভা নোটিশ ঝুলিয়েছে, আপাতত ৩০ জনের বেশি আর কাউকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। চুঁচুঁড়ার সায়রা মোড়ে পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিস্থিতিও তথৈবচ। পর্যাপ্ত টিকা নেই নদিয়ায়ও। তার উপর আবার জেলার স্বাস্থ্য দফতরের আধকারিকদের একাংশ করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন বাড়িতে। কেউ প্রথম ডোজ নেবেন, তো কারও  আবার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া বাকি। কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতাল-সহ বিভিন্ন জায়গায় মানুষের লম্বা লাইন। চরম বিশৃ্ঙ্খল পরিস্থিতি। 


আরও পড়ুন: Covid-এ মৃত্যু ২ আইনজীবীর, ১০ দিন কর্মবিরতিতে হাওড়া আদালতের আইনজীবীরা


গত কয়েক মাস করে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে মেদিনীপুর শহর লাগোয়া আয়ুস হাসপাতালে। অব্যবস্থা সেখানেও! এই হাসপাতালে প্রতিদিন ৮০ জনের নমুনা সংগ্রহ করার কথা। অভিযোগ, এদিন সবেমাত্র ২০ জন নাম লিখিয়েছিলেন, তারপরই হাসপাতালে তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, নতুন করে আর কারও নাম লেখানো হবে না। আর তাতেই ক্ষোভে পড়েন রোগীর পরিবারের লোকেরা।