নিজস্ব প্রতিবেদন: অক্সিজেন সঙ্কটে দেশের একাধিক রাজ্য। এই পরিস্থিতি রাজ্যে এখনও তৈরি হয়নি। নবান্ন সূত্রে খবর, বর্তমানে রাজ্যে ১০টি কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন উৎপাদিত হচ্ছে ৪৯৭ টন অক্সিজেন (Oxygen)। চাহিদা ২২৩ মেট্রিক টন। ফলে এখনও বাড়তি অক্সিজেন রয়েছে বাংলায়। কিন্তু তাতে নিশ্চিত হতে পারছে না নবান্ন (Nabanna)। কারণ আগামী সপ্তাহে দৈনিক অক্সিজেনের (Oxygen) চাহিদা বেড়ে পৌঁছতে পারে ৪৫০ মেট্রিক টন। এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের ঘাটতি মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ করল নবান্ন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার নবান্ন সভাঘরে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিব ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে অক্সিজেনের (Oxygen) জোগান নিয়ে আলোচনা সিদ্ধান্ত হয়েছে-      


১। কোভিড আক্রান্তদের অক্সিজেন (Oxygen) সিলিন্ডার বিক্রিতে অগ্রাধিকার দেবেন খুচরো বিক্রেতারা, এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে স্বাস্থ্য দফতর। 


২। অক্সিজেন সরবরাহে নজরদারি ও কোভিড মোকাবিলায় আধিকারিকদের কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে নবান্নে।


৩। স্বাস্থ্য দফতর ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা দিয়েছে, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অক্সিজেন বিক্রি করা যাবে না। বেচতে হবে নির্ধারিত মূল্যেই। এই নির্দেশ অমান্য করে মজুতদারি বা কালোবাজারি করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


৪। শিল্পে ব্যবহৃত সিলিন্ডারগুলিকে মেডিকেল অক্সিজেন সিলিন্ডারে রূপান্তরিত করা হবে। 


৫। জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পঞ্চায়েত সমিতির সমন্বয় রেখে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কালোবাজারির অভিযোগ পেলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ পুলিসকে।


৬।  খোলাবাজার থেকে ৫০০০ মেডিক্যাল সিলিন্ডার কিনছে রাজ্য। 


৭।  ৫০,০০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই অক্সিজেনের ১০ শতাংশ চেয়েছে রাজ্য। 


অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তি দিয়েছিল, বাড়তি অক্সিজেনই রাজ্য থেকে উত্তরপ্রদেশে পাঠানো হচ্ছে। লাগলে ঝাড়খন্ড থেকে অক্সিজেন নিতে পারে বাংলা। কেন্দ্রকে রাজ্য জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের বাড়তি অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব নয়।  


আরও পড়ুুন- ঝাড়খন্ডের Oxygen অন্যত্র দিন, রাজ্যেরটা রাজ্যেই থাকুক, কেন্দ্রকে পাল্টা নবান্নের