কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ, আতঙ্কে আত্মহত্যা যুবকের
প্রায় দশ বছর আগে বিহারের বেগুসরাই জেলার ভগবানপুর থানার অন্তর্গত সাঞ্জার গ্রাম থেকে নবদ্বীপে আসেন মহম্মদ মুস্তাকিন মনসুরি। এখানে ভাই ও বাবার সঙ্গে লেপ তোষক বানানোর কাজ করত। পরিবারের বাকি সদস্য থাকে বিহারে দেশের বাড়িতে ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ। মোবাইলে এই খবর পাওয়ার পর আতঙ্কে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন মহম্মদ মুস্তাকিন মনসুরি। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নবদ্বীপ ব্লকের চরমাজদিয়া চরব্রহ্মনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চরমাজদিয়া গ্রামে।
প্রায় দশ বছর আগে বিহারের বেগুসরাই জেলার ভগবানপুর থানার অন্তর্গত সাঞ্জার গ্রাম থেকে নবদ্বীপে আসেন মহম্মদ মুস্তাকিন মনসুরি। এখানে ভাই ও বাবার সঙ্গে লেপ তোষক বানানোর কাজ করত। পরিবারের বাকি সদস্য থাকে বিহারে দেশের বাড়িতে ।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে দিন ১৫ আগে দেশের বাড়িতে নবদ্বীপে ফিরে আসেন মুস্তাকিন মনসুরি। কয়েকদিন পর তাঁর শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। তখন স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে গত রবিবার মহেশগঞ্জ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মুস্তাকিনের সোয়াব টেস্ট করা হয়। বুধবার রাতে মোবাইলে এসএমএস করে রিপোর্ট পজিটিভ তা জানিয়ে দেওয়া হয়। পরিবারের এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা এই খবর পাওয়ার পর আতঙ্কে আত্মহত্যা করেন মুস্তাকিন। বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের লোকজন বারান্দায় বাঁশের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে দেখতে পায়। মুস্তাকিনের ভাই কাজল মনসুরি জানান, " রাতেই ভাই জানায় তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ। কিন্তু এইরকম ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবে তা ভাবতে পারিনি। সকালে বাথরুমে যাওয়ার সময় দেখতে পাই বারান্দায় দেহ ঝুলছে ।"
প্রেমে ধোকা, প্রেমিকাকে খুনের চেষ্টা মত্ত যুবকের
ভাইয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখার পর স্থানীয় থানা এবং পঞ্চায়েতে খবর দেয় তাঁর পরিবার। পুলিস এবং পঞ্চায়েত সদস্যদের উপস্থিতিতে মুস্তাকিনের দেহ নামানো হয়। এই ঘটনার পর এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় । কারণ এক কোভিড মারা গেছে । বেশ কয়েক ঘন্টা কেটে গেলেও এলাকা সুরক্ষা করার কোন ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় স্বাস্থ্য দফতর বা পঞ্চায়েত।