Cow Smuggling: বুকে ব্যথা; ফিসচুলার সমস্যাটাও ভোগাচ্ছে, জেলে কেমন আছেন অনুব্রত?
গোরুপাচার মামলায় গত ২৪ আগস্ট অনুব্রত মণ্ডলকে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। পরবর্তী শুনানি হবে ৭ সেপ্টেম্বর
বাসুদেব চট্টোপাধ্য়ায়: গোরুপাচার কাণ্ডে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসানসোল সার্কেলে হওয়ায় তাঁর ঠাঁই হয়েছে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে। এই একই কারাগারে রয়েছে অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। বুকে ব্যথা, ফিসচুলা, হাই প্রসার সহ একাধিক সমস্য়া রয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির। তাঁর চিকিত্সায় যাতে কোনও ত্রুটি না হয় তা দেখতে নির্দেশ দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। তাই তাকে নিয়ে সতর্ক কারাগার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কেমন আছে অনুব্রত মণ্ডল? সোমবার আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার পরির্দশনে আসেন ডিআইজি(কারা) বর্ধমান শুভব্রত চট্টোপাধ্যায়। অনুব্রত সম্পর্কে কিছু না বললেও সাংবাদিকদের তিনি জানান, টেন্ডার সম্পর্কিত বিষয়ে কথা বলতে তিনি কারাগার পরির্দশনে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন-Cow Smuggling Case: আসানসোল জেলই ঠিকানা অনুব্রতর, রায়ের পরই বদলে গেল মুড !
আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে বর্তমানে রয়েছেন ৩৬ জন কারারক্ষী রয়েছেন। নেই কোনও স্থায়ী চিকিত্সক। তিনজন কন্ট্রোলার থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন ২ জন। এমনটাই জানা যাচ্ছে জেল সূত্রে। এনিয়ে ডিআইজি কিছু মন্তব্য করেননি। এমনকি অনুব্রত মণ্ডল কেমন আছেন তা বলতেও অস্বীকার করেন।
এদিকে, জেল সূত্রে খবর, সোমবার ডিআইজি(কারা) বর্ধমান সংশোধনাগারের সব কক্ষ ঘুরে দেখেন। অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলেন অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গেও। তিনি কেমন আছেন তাও জানতে চান। জেল সূত্রে আরও খবর, অনুব্রত ডিআইজি কারা-কে জানিয়েছেন তাঁর ফিসচুলার সমস্যাটা ভোগাচ্ছে, বুকে ব্যথা রয়েছে। রাতে অক্সিজেনের সমস্যা হয়। তাই রাতে অক্সিজেন ও ইনহেলার নিতে হচ্ছে। খাওয়াদাওয়ার তেমন কোনও সমস্যা হচ্ছে না। গ্রিন টি খাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, গোরুপাচার মামলায় গত ২৪ আগস্ট অনুব্রত মণ্ডলকে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। পরবর্তী শুনানি হবে ৭ সেপ্টেম্বর। অনুব্রত প্রভাবশালী, এই তত্ত্বেই এদিন তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তবে অনুব্রতর স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে তাঁর চিকিত্সায় য়েন কোনও ত্রুটি না হয় তা দেখতে বলে আদালত। জেল হেফাজত হওয়ার পর এই কয়েকদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের কোনও আধিকারিক তাকে জিজ্ঞেসাবাদ করতে সংশোধনাগারে আসেনি বলেও জানা যাচ্ছে। তবে তার জন্য জামাকাপড় দিয়ে যাচ্ছে তার বাড়ির লোক বা ঘনিষ্ঠ কেউ। এদিন অনুব্রতর আইনজীবী সওয়াল করেন, গোরু পাচারের সঙ্গে সরাসরি অনুব্রতর কোনও যোগসাজসের প্রমাণ পাওয়া য়ায়নি। বিদেশে গোরু পাচার হলে তার জন্য বিএসএফ রয়েছে। আদালতে জানানোর আগে সিবিআই মিডিয়াকে সবকিছু জানিয়ে দিচ্ছে। সিবিআইয়ের ভূমিকা স্পষ্ট। গোরু দেশের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ায় কোনও বাধা নেই। ভারত থেকে বাংলাদেশে গেলে তা বেআইনি। গোরুপাচারে জড়িত নন অনুব্রত। এফআইআর-এ তার নাম নেই। আজ বলা হয়ে দেশের রাজ্যগুলির মধ্যে গোরু চলাচল ও পরিবহনে কোনও বাধা নেই। তাহলে এনিয়ে অনুব্রত কীভাবে দায়ী হতে পারেন।