Anubrata Mandal: নামে-বেনামে বিপুল সম্পত্তির হদিস, ফের ১৪ দিন জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল
আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে আজ অনুব্রতর আইনজীবী দাবি করেন, গোরু যে বাংলাদেশে পাচার করা হতো তার কোনও তথ্য সিবিআইয়ের কাছে নেই। এনামুলও যে গোরু পাচারের সঙ্গে সরাসরি জড়িত তারও কোনও প্রমাণ নেই
বাসুদেব চট্টোপাধ্য়ায়: গোরুপাচার মামলায় টানা ১৪ দিন জেল হেফাজতে থাকার সময়ে অনুব্রত মণ্ডল ও ঘনিষ্ঠদের সম্পর্কে বহু তথ্য জোগাড় করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, তদন্তে উঠে এসেছে নামে অথবা বেনামে বিপুল সম্পত্তির মালিক অনুব্রত মণ্ডল। ওইসব তথ্যের উপরে ভিত্তি করেই অনুব্রতর জামিনের আবেদন নাকচ করে দিল বিশেষ সিবিআই আদালত। ফলে আগামী ১৪ দিন জেল হেফাজতেই থাকছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। সিবিআইয়ের অভিযোগ, গোরুপাচারের সময়ে কাস্টমস এর অফিসাররা যদি কাউকে গ্রেফতার করত বা কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত তাহলে তাদের হুমকি দিত অনুব্রতর লোকজন। বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে ঠিকঠাক কাজই করতে পারত না কাস্টমস অফিসাররা।
আরও পড়ুন-খুনের আগে হোটেলে 'মিটিং' সতেন্দ্রর, কাজ হলে মোটা পারিশ্রমিকের প্রতিশ্রুতি
আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে আজ অনুব্রতর আইনজীবী দাবি করেন, গোরু যে বাংলাদেশে পাচার করা হতো তার কোনও তথ্য সিবিআইয়ের কাছে নেই। এনামুলও যে গোরু পাচারের সঙ্গে সরাসরি জড়িত তারও কোনও প্রমাণ নেই। পাল্টা সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, এনামুল যে গোরু পাচারের সঙ্গে জড়িত তার তথ্য আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে যে এনামুলের যোগ রয়েছে তার প্রমাণও দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় অনুব্রতর লোকজন এতটাই প্রভাবশালী ছিল যে তারা কাস্টমসের লোকজনকে হুমকি দিত।
এদিকে, অনুব্রতর আইনজীবী ফারুক রাজ্জাক বলেন, সায়গল হোসেন যে টাকা তুলত তাতে অনুব্রত কীভাবে দোষী! সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, গোরুর হাট থেকে গোরু চলে যেত বাংলাদেশে। তার পুরো তথ্য দেওয়া হয়েছে সিডিতে। সবকিচুই হতো অনুব্রতর অঙ্গুলীহেলনে। অনুব্রতর হিসেবরক্ষকের কাছেও বহু সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে।
উল্লেখ্য, অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির খোঁজ নিতে গিয়ে বোলপুর পুরসভায় কর্মরত বিদ্যুত্ গায়েন নামে এক গাড়ি চালকের বিপুল সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। দেখা গিয়েছে মাত্র ২ বছরে বিদ্যুত্ কিনেছেন ৫৬০ কাঠা জমি, যার আনুমানিক মূল্য ৩৩ কোটি টাকার উর্দ্ধে। কে এই বিদ্যুৎ গাইন? বিদ্যুৎ গাইন অনুব্রত মন্ডলের ছায়াসঙ্গী ও সব থেকে ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি। তিনি বোলপুর পুরসভায় গাড়ি খালাসি হিসাবে কর্মরত ছিলেন পরে অবশ্য প্রমোশন পেয়ে ড্রাইভার হয়েছেন।
বোলপুর এলাকায় বিদ্যুতের মোট জমি ৭২ টি। যা প্রায় ৫৬০ কাঠা, কাঠা প্রতি এই জমির মূল্য যদি ৬ লক্ষ টাকাও ধরা হয় তাহলে এই সম্পত্তির পরিমাণ ৩৩ কোটি টাকার উপরে। বোলপুরের কালিকাপুর মৌজাতেই ৫৭ টি জমি রয়েছে বিদ্যুতের। এই মৌজা এলাকাতেই বাড়ি বিদ্যুৎ গাইনের, পাশাপাশি অনুব্রত মন্ডলের বাড়িও এই মৌজাতেই। এছাড়াও, বোলপুর মৌজায় রয়েছে ২ টি জমি, সুরুল মৌজায় ২ টি জমি, বল্লভপুর মৌজায় ৭ টি জমি, কংকালীতোলা মৌজায় ৪ টি জমি রয়েছে বিদ্যুতের।