নিজস্ব প্রতিবেদন: শুক্রবার থেকে নিখোঁজ থাকার সোমবার সকালে দুবরাজপুর থেকে উদ্ধার হল সিপিএম নেতার টুকরো টুকরো দেহাংশ। সিপিএম নেতাকে টুকরো করে কেটে কিছুটা অংশ ফেলে দেওয়া হয় জয়দেব নদীতে। বাকিটা পুঁতে ফেলা হয় মাটিতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-সাতসকালেই ভোট দিলেন ভাগবত-গড়করি-সহ মহারাষ্ট্র-হরিয়ানার হেভিওয়েটরা


নানুরের সূচপুর গণহত্যা মামলায় অভিযুক্ত সিপিএম নেতা সুভাষ চন্দ্র দে-কে শুক্রবার সকালের পর আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজ করার পর এদিনই বিকেলে তাঁর মোটর বাইকটি উদ্ধার হয় নানুরের তৃণমূল নেতা কেরিম খানের বিএড কলেজের সামনে থেকে। এরপরই তোলপাড় শুরু হয়ে যায় এলাকায়।


বাইক খুঁজে পাওয়ার পর নানুর থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি করে সুভাষ চন্দ্রের পরিবার। তাঁর মেয়ে পুলিসকে জানান, ‘বাবা শেষবার ফোন করেছিল ইলামবাজার থেকে।’ এরপরই তদন্ত নামে পুলিস। মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন ট্র্যাক করে দেখা যায় সুভাষবাবুকে শেষবার দেখা গিয়েছে দুবরাজপুরের খোজমহম্মদপুর গ্রামে।



মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই শেষপর্যন্ত খোজমহম্মদপুরে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাদের জেরা করেই বেরিয়ে এসেছে ভয়ঙ্কর খুনের ঘটনা। জানা যাচ্ছে প্রথমে রড় দিয়ে আঘাত করা হয় সুভাষ চন্দ্রকে। তারপর দেহ ধারাল অস্ত্র দিয়ে কেটে টুকরো করে ফেলা হয়।


আরও পড়ুন-গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকীর আগেই খুলে যাচ্ছে করতারপুর করিডরের দরজা


পুলিস সূত্রে খবর, যে খুন করেছে তার স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সুভাষ চন্দ্রর। ঘটনার দিন ওই মহিলার বাড়িতে গিয়েছিলেন সুভাষ। সেখানে ওই মহিলার সঙ্গে সুভাষ চন্দ্রকে অসংলগ্ন অবস্থায় দেখে ফেলে মহিলার স্বামী। তারপরই ওই ব্যক্তি লোহার রড দিয়ে সুভাষ চন্দ্রকে আঘাত করে। পরে দেহ টুকরো করে ফেলা হয়। এরপর দেহাংশের কিছু অংশ ফেলে দেওয়া হয় জয়দেব নদীতে। বাকি অংশ পুঁতে ফেলা হয় মাটিতে।