নিজস্ব প্রতিবেদন: সীতারাম ইয়েচুরি নন, রাজ্যসভায় সিপিএমের প্রার্থী প্রাক্তন বিধায়ক তথা বাম পরিষদীয় দলের প্রাক্তন মুখ্যসচেতক রবীন দেব। উল্লেখ্য, 'বাম-বন্ধু' কংগ্রেস (বঙ্গ কংগ্রেস) চেয়েছিল সীতারাম ইয়েচুরিকে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যসভায় পাঠাক সিপিএম। সেক্ষেত্রে তাঁকে সমর্থন জানাতে তৈরি ছিল অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস। কিন্তু শুক্রবার সকালেই কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে প্রখ্যাত আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভির নাম সামনে আসে। এরপরই বামেরা ঘোষণা করে রবীন দেবের নাম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- বাদ বুদ্ধ, থেকে গেলেন গৌতম


সিপিএমের দলীয় সংবিধান অনুযায়ী দলের কোনও নেতাই দু'বারের বেশি রাজ্যসভার সাংসদ থাকতে পারেন না। আর সে কারণেই বিদায়ী সাংসদকে রাজ্যসভায় না পাঠিয়ে বালিগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ককে প্রার্থী করল কমিউনিস্ট পার্টি মার্ক্সবাদী। অন্যদিকে সিপিএমের 'বন্ধুতা' না পেয়ে একলা চলোর নীতি অনুসরণ করল কংগ্রেসও। হাই কমান্ডের নির্দেশে রাজস্থানের কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভিকে প্রার্থী করছে কংগ্রেস। যার ফলে, 'জোট' তো দূর, রাজ্যসভার মনোনয়নেই লড়াইয়ে দেখা যাবে রাজ্যের একদা দুই 'বন্ধু'কে। কংগ্রেস প্রার্থীকে তৃণমূল সমর্থন জানানোর ফলে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টার স্ট্রোকে একদিকে যেমন বামেদের পরাজয় নিশ্চিত, তেমনই বাম-কংগ্রেস জোটেরও ইতি হবে!


আরও পড়ুন- রাজ্যসভায় হাতে 'হাত' মমতার


উল্লেখ্য, শান্তুনু সেন, আবির বিশ্বাস, নাদিমুল হক এবং শুভাশিস চক্রবর্তীকে ইতিমধ্যেই রাজ্যসভার টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। লড়াইটা ছিল মূলত পঞ্চম আসন নিয়ে। তৃণমূল কী পঞ্চম আসনেও প্রার্থী দেবে, না কি বাম-কংগ্রেস 'জোট' করে বাংলার কোনও মুখ দিল্লিতে পাঠাবে-এদিকেই নজর ছিল সবার। তবে, রাজ্যসভার পঞ্চম প্রার্থীপদ নিয়ে যা ঘটল, তাতে কার্যত 'পেন্সিল ধরার মত অবস্থা' হল বামেদের। কংগ্রেসের সমর্থন ছাড়া এবার কোনও ভাবেই নিজেদের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে পারত না সিপিএম। সেখানে তৃণমূলের সমর্থন আদায় করে যেভাবে পঞ্চম আসন পাকা করল কংগ্রেস, তাতে বাম শিবির যে কোণঠাসা তা আবারও স্পষ্ট হল।