Malda: `মালদহের ২ আসনে আমাদের প্রার্থী নেই, আবার আছেও`: বিমান
Malda: কংগ্রেস প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে বিমান বসু বলেন, মালদায় ২টি আসনে বামপন্থীদের দায়িত্ব হবে জয় যুক্ত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো
রণজয় সিংহ: মালদার ২ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে না বামেরা। কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে প্রচার করবে বাম নেতৃত্ব। মালদা কলেজ অডিটোরিয়ামে কর্মীসভা শেষে বললেন বিমান বসু। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বলেন, মালদায় প্রার্থী আমাদের নেই কিন্তু প্রার্থী আছে। আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিজেপি নামক অশুভ শক্তি, তার সঙ্গে টিএমসি নামক যে এক মিথ্যাচারী শক্তির মিলন, এর বিরুদ্ধে যারাই লড়াই করতে চাই আমরা তাদের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে চাই।
আরও পড়ুন-ভোট পেতে কতকিছুই না করতে হয়, প্রচারে বেরিয়ে এই কাণ্ড করলেন কীর্তি আজাদ
বিমানবাবু আরও বলেন, কংগ্রেস যখন ওই দুই শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায় তাদের সাথে বোঝাপড়া হয়েছে, মানে এই মালদা উত্তর ও দক্ষিণে। দুইটি কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে। ফলে তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে উত্তর দক্ষিণ কেন্দ্রে ঈশা খানই হোক আর মুস্তাক আলমই হোক তাদের পক্ষে জনগণের মধ্যে প্রচার করব।
রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিমান বসু বলেন, তৃণমূল হচ্ছে বিজেপির তোষণকারী। তৃণমূল-বিজেপি দেশের মানুষকে নানান ভাবে বিরক্ত করতে চাইছে। যে ইলেকট্ররল ভোট রয়েছে সেই ইলেকট্ররাল বন্ডে আমরা দেখতে পাচ্ছি তৃণমূল পার্টি একটি রিজিওন্যাল পার্টি হওয়া সত্বেও জাতীয় কংগ্রেস ন্যাশনাল পার্টি থেকে বেশি অর্থ পেয়েছে। তারা একটা ব্যাপক অর্থ পেয়েছে একটা বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে পরিচালনা করা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সংস্থা থেকে। সম্ভবত ৪শো ৪৪ কোটি টাকা। তাই তারা জনগণের ওপর অতিরিক্ত সার্চ চার্জ বাড়াচ্ছে। তাই মানুষের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই কথাগুলোই বলতে চাই। আর তৃণমূল বিজেপি মানুষের বন্ধু না। মোদির গ্যারান্টির বিরুদ্ধে তৃণমূল যে গ্যারান্টি দিচ্ছে সব গ্যারান্টি হচ্ছে মানুষের মধ্যে চুপষে যাবে। দেশকে চরম পরিণতি দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কারণ সেটাই হচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের দর্শন।
কংগ্রেস প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে বিমান বসু বলেন, মালদায় ২টি আসনে বামপন্থীদের দায়িত্ব হবে জয় যুক্ত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো। কেজরিওয়ালকে গ্রেফাতার প্রসঙ্গে বিমান বসু বলেন, খুব খারাপ ভাবে নিয়েছি। মানে ন্যাশনাল ইলেকশন কমিশনের মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট চালু হওয়ার পর সমস্ত কিছুই নির্বাচন কমিশনের হাতে আছে। যেই চার্জ নিয়ে গ্রেফতার করেছে সেদিন সেই চার্জে দুমাস আগে তিন মাস আগে গ্রেফতার করা যেত। তাকে ১৩ বার ডাকা হয়েছে, ৬ বার ডাকার পরে তাকে গ্রেফতার করতে পারত। তখন তো কোড অফ কন্ডাক্ট চালু হয়নি। ৬ বার কেন নয়বারের পর তাকে গ্রেফতার করতে পারত। করেনি অর্থাৎ মডেল কোড অফ কন্ডাক্টটাকে বিষয়টা নির্বাচন কমিশনের হাতে আছে। সেটাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখাচ্ছে। এই ধরনের শক্তি ফ্যাসিবাদী শক্তি হিসাবে রূপান্তরিত হয়। ড্যাম কেয়ার। এই ড্যাম কেয়ার মনোভাবটা হিটলারি মনোভাব। এটা আমরা তীব্র বিরোধিতা করি।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)